• ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শেওলায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৬, ২০২৩
শেওলায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ানীবাজারের শেওলায় মোটা অংকের চাঁদা না দেওয়ায় নুরুল ইসলাম জামাল (৫৫) নামক এক ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার বসতঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। ভিকটিম নুরুল ইসলাম জামাল শেওলা ইউনিয়নের চারাবই গ্রামের আব্দুল মুনিমের পুত্র ও শেওলা বাজারের নুরুল ভেরাইটিজ ষ্টোরের মালিক। ১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় চারাবই গ্রামে ভিকটিমের বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত ক্যাডার নাইম ও দিনার এর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৭/৮ জনের একটি দল জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা আদায়ের নামে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পরে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিমকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছেন।

জানা যায়, নুরুল ইসলাম জামাল এর পুত্র মোঃ মোশারফ হোসেন তানিম কে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদানের প্রস্তাব দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নাইম ও দিনার। কিন্তু মোঃ মোশারফ হোসেন তানিম ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। ফলে ছাত্রলীগ নেতারা তার উপর চরম ক্ষুব্ধ হয় উঠে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আক্রোশে পড়েন মোঃ মোশারফ হোসেন তানিম। ক্ষমতাসীনদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। তখন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোঃ মোশারফ হোসেন তানিম এর উপর হামলা, হুমকী এবং নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানী শুরু করেন। তাদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে একপর্যায় সে দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। মোঃ মোশারফ হোসেন তানিম দেশ ছেড়ে গেলেও তার উপর প্রতিশোধ নেয়া থেকে বিরত হয়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একদল নেতাকর্মী। তারা সেই বিরোধের জেরে মোঃ মোশারফ হোসেন তানিম এর ব্যবসায়ী পিতাকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে তার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করত। নিরুপায় হয়ে নুরুল ইসলাম জামাল তাদেরকে চাঁদা দিতেন। ১৫ আগষ্ট, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের নামে ঘটনার দিন সকাল ১০ টায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্যাডার নাইম ও দিনার ৭/৮ জন দলীয় সহযোগীকে নিয়ে নুরুল ইসলাম জামাল এর বাড়িতে গিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তিনি এতো টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাকে কিল, লাথি মেরে মটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তারা তার বসতঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। এসময় তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছেন। বর্তমানে তিনি ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর বলেন এই ধরনের কোন ঘটনায় থানায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।