একুশে নিউজ ডেস্ক : আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিলেট জেলা কমিটি দ্যর্থহীন ভাষায় প্রতিবাদ করছি যে, এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যক্তিগতভাবে কোনোকিছু পাওয়ার আশায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি। তাহারা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল এদেশের মানুষকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সুষমবঞ্চনা হতে মুক্তির জন্য। তাহারা এদেশের মানুষকে এনে দিয়েছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং গনতান্ত্রিক অধিকার। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মনে করি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানী করা হচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একে একে বহু রাষ্ট্র প্রধান রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। বর্তমান কোটা নিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যে সংস্কার আন্দোলন করছে এই কোটা প্রথা কোন সাংবাধিক অধিকার নয়, এটি রাষ্ট্র প্রধানে সম্পূর্ণ এখতিয়ারভূক্ত। রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে দেশে প্রচলিত কোটা প্রথা যেকোন সময় নির্বাহী আদেশে পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধন করতে পারেন। বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এদেশের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কোটা আন্দোলনের মৌলিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্টির হয়ে কাজ করে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে এবং দেশের জানমালের ক্ষতিসাধন করে এটা বাঙ্গালী জাতির জন্য অশুভ সংকেত। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুজি করে দেশব্যাপী হত্যা, সন্ত্রাস, রাহাজানী ও জনগনের জানমালের ক্ষতিসাধন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবেশ বিঘ্নিতকরণ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টকরণ এবং সরকার বিরোধী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে দেশের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশপ্রেমিক আপামর জনগনের প্রতি সবিনয় অনুরোধ করছি। পাশাপাশি সিলেট সহ দেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের প্রতি অনুরোধ করছি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এবং সংকটময় মুহুর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা আনয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে সকলকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন যাবত দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে বহু সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও জনগন নিহত এবং হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও জনগন আহত হয়েছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিলেট জেলা কমিটি নিহতদের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন-সভাপতি সৈয়দ আবু ফাহিম আজাদ সুমন, সহ সভাপতি আসলাম খান স্বপন, রুবেল আহমদ, দেওয়ান মোহাম্মদ মঞ্জুর আহসান মিশু, আবু সাঈদ, সাধারন সম্পাদক এন.এম ময়না মিয়া, সহ সাধারন সম্পাদক সাহেল আহমদ, আবদাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহ সাংগঠনিক জায়েদ আহমদ, অর্থ সম্পাদক মোছাঃ রিতা আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক আতিক শুভ, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক ফারুক হোসেন, সমাজ কল্যন সম্পাদক দুলাল আহমদ, মহিলা সম্পাদিকা লুৎফুন নেছা বেগম লুৎফা, দপ্তর সম্পাদক ফিরুজুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাব্বির আহমদ সাদি, ক্রীড়া সম্পাদক জাকির আহমদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম রাজন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রুকুনজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মহিব আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক রানু মোহন চন্দ্র, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম খালেদ, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্বাছ উদ্দীন, সদস্য আপন আহমদ, শাপলা বেগম, পপি আক্তার, জমির হোসেন, মাহবুবুল হক শিমুল, গুরু প্রশাদ দাস দ্বিপ, তাজুল ইসলাম মুহিত, দিপাকর দাস, রুহেল আহমদ, সুহেল আহমদ, মোঃ জহির উদ্দীন, মোঃ আহাদ আহমদ জুম্মা, মোঃ আতিকুর রহমান প্রমুখ।