
পংকজ শর্ম্মা : এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর দমন-পীড়ন নিযার্তন এখনকার প্রতিদিনের ঘটনা। অপমান, উপেক্ষা, অবজ্ঞা, বিদ্রুপ, হামলা, হুমকির কারনে নীরবে দেশত্যাগও ধর্মান্ধর ঘটনা ঘটে চলছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও থেকে কোনো না কোনো হিন্দু পরিবার অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের জমি দখল, পরিবারের নারীদের উপর নানামুখী নির্যাতন সহ নির্যাতনের নিত্যনতুন কৌশল ফলিয়ে তাদেরকে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করছে ইসলামের কট্টর প্রন্থী ধর্মান্ধরা। লাগাতার নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে ও আজ পর্যন্ত কোনো হিন্দু নিগ্রহের ঘটনার বিচার হয়নি। এদিকে হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসকে প্রতিনিয়ত আঘাত করা হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ মাহফিল থেকে সব সময় হিন্দুকের ধর্মকে হেয় করে কথা বলা হয়।
কটুর মৌলবাদী ইসলামীর প্রন্থি সাধারণ মুসলিমদের উস্কিয়ে যার ফলে রাস্তাঘাটে দেয়। রাস্তায় কোন হিন্দু মেয়ে যদি চিপ ও শাঁখা পরা থাকে তাকে ওরা অপমান এবং টিটকারী মারে খাতে এইসব পরে বাহিরে না যেতে পারে কোন কোন জায়গায় তো মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। হিন্দুরী ধর্মীয় রিথীনীতি মেনে চলের জন্য। দেবদেবীর মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা মন্দির লটুপাট করা হচ্ছে। তাঁদের ইসলাম ধর্মব্যতীত অন্যান্য ধর্মের নামে কুৎসা রটনা করে থাকে এই সকল কটুর ধর্মান্ধরা। সমানাধিকারের প্রশ্ন তো নেই-ই, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অতি সামান্য। লাগাতার মার খেয়ে, অপমানিত জমি জায়গা হারিয়ে যাদের পক্ষে সম্ভব তারা দেশ ছাড়ছে। আর যাদের দেশ ছাড়ার কেউ ভয়ে ধর্মান্তর হচ্ছে আর চেপে পড়ে আছে আর সার্মাদ্য নেই তারা কেউ দাঁতে দাঁতে কেউ ভয়ে ধর্মান্তর হচ্ছে। এই সকল বিষয়ে সংখ্যালগুদের শেষ নিশ্চুপ নিরব ভূমিকা পালন করে থাকে সরকার কারণ সরকার দলীয় লোকগুলো।
এই সকল বিষয়ে বিষয়ে তারা জড়িত থাকে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি সংখ্যাঘনিষ্ট মুসলিম দেশ তাই তারা এদেশে শুধু মুসিলমরা বসবাস করবে অন্য কেউ নয়। হিন্দু বা সংখ্যালগুদের এরা বাংলাদেশের নাগরিক মনে করলে, হিন্দু জনগোষ্টী সংখ্যা কমে যাওয়া বা তাদের নিখোঁজ হওয়া, বাতভিটাহীন আক্রমন নামক মনোভার লাটুপাট নৈরাজ্য ও নির্যাতন এসবের প্রতি শেষ যদি সরকার একটু নজরদারি করতো কিন্তু তা হয় না বরং উল্টো ঘটে চলে। যারা নির্যাতন করবে তাদের যদি শাস্তির আওতায় আনা হত। তাহলে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ পরিচালিত হত। সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘু ধর্মীয় আইন প্রণয়ন করা হত তাহলে হিন্দুরা কিছুটা হলে ভালো থাকবে।
পংকজ শর্ম্মা
লেখক ও কলামিস্ট
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট
সুনামগঞ্জ জেলা