• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বড় ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাই নিহতের ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী গ্রেফতার

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১২, ২০২৪
বড় ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাই নিহতের ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী গ্রেফতার

মিসবাহ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার : সিলেটের বিয়ানীবাজারে পারিবারিক কলহ ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের কোদালের আঘাতে গত বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলের দিকে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ দুবাগ গ্রামের মোখলেছ মিয়ার পুত্র টমটম চালক আদিল (২৫) বড় ভাইয়ের হাতে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত আদিলের স্ত্রী সুবানা বেগম বিয়ানীবাজার থানায় প্রধান আসামী আব্দুল কে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন মামলা ও ঘটনার ৭২ ঘন্টার পর দক্ষিন দুবাগ গ্রামের মোখলেছ মিয়ার পুত্র অভিযুক্ত বড় ভাই আব্দুল কাদির (২৮)-কে দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা এয়াকাথেকে গ্রেফতার করেছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন নিহত আদিল আহমদের স্ত্রী সুবানা বেগম বাদী হয়ে আব্দুল কাদির আসামী করে এজাহার দায়ের করলে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন এর সহযোগীতায় অভিযুক্ত আসামী আব্দুল কাদির কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শিমুল রায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা গ্রাম থেকে আমরা গ্রেফতার করেছি এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কোদাল উদ্বার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানান।

জানা যায়, পারিবারিক কলহ ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের কুড়ালের আঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলের দিকে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ দুবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আদিল (২৫) দুবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ দুবাগ গ্রামের মোখলেছ মিয়ার পুত্র। সে পেশায় একজন টমটম চালক। তার ২/৩ মাসের একটি ছোট্ট মেয়ে শিশু রয়েছে। সংসারের অভাব-অনটন থাকায় মোখলেছ মিয়ার যৌথ পরিবারে নিত্যদিনই লেগে থাকত ঝগড়া-বিবাদ। ঘটনার দিন দুপুরের দিকে বড় ভাই কাদির ও ছোট ভাই আদিলের মধ্যে প্রচন্ড বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে বাড়িতে রক্ষিত কুড়াল দিয়ে কাদির সজোরে আঘাত করে আদিলের মাথায়। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় আদিল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার পর চারখাই এলাকায় যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ নিয়ে পুনরায় বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

সন্ধ্যায় খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।