একুশে নিউজ ডেস্ক : সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় এক বছর আগে প্রবাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ মামলা করেছিলেন শুকরিয়া আক্তার নামে এক তরুণী। সেই মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে অভিযোগকারী ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী, উপজেলার ইলাবাজ গ্রামের বাসিন্দা শাহিন আহমদ। আদালত তরুনীর তথা বাদির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১৭/৩০ ধারায় অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামি বছরের ৫ মার্চ পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিয়াজী শহিদুল আলম চৌধুরী।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গত বছর দুবাই প্রবাসী শাহিন আহমদের বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। হামলার শিকার হয়েও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে প্রতিপক্ষ। শাহিনও বাদি হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাজনৈতিক মদদের কারণে ওই সময় তিনি আইনী সহায়তা পাননি। বাধ্য হয়ে এক পর্যায় দেশ ত্যাগ করেন। এ অবস্থায় তরুণী বাদি হয়ে গত বছরের ৬ নভেম্বর জকিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-১(১১)২৩) করেন।
অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষ তাকে দিয়ে মামলা করিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী শাহিন আহমদ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১৭/৩০ ধারায় ওই নারী ও তার মানিত ৫ সাক্ষির বিরুদ্ধে মামলা (১০১/২৪) করেন। মামলার প্রেক্ষিতে নথি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। শুনানী শেষে গত ২৮ আগষ্ট আদালত ধর্ষন চেষ্টার মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহন ও শাহিনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। গত ৩০ অক্টোবর আদালত শুকরিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে মামলাটি বিচারের জন্য আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন।
শাহিন আহমদের আইনজীবী শাহ মুশাহিদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন মিথ্যা মামলা করায় চুড়ান্ত প্রবিদেন দাখিলের পর শাহিন বাদি হয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই নারীর মামলা পর্যালোচনা করে আদালত তার বিরুদ্ধে পরওয়ানা জারি করেন। তবে ৫ সাক্ষিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। কেউ মিথ্যা মামলা করলে আইনে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই প্রতিকার চাননা।