
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের গোলদাপগঞ্জে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগ নেতা আলীম উদ্দিন বাবুল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কর্তৃক হামলা ও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন জহির উদ্দিন। গত ২৩ এপ্রিল ২০২৩ সালে আলীম উদ্দিন বাবলুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা ও মারধর করে। এসময় গুরুতর আহমদ জহির উদ্দিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
আহত জহির উদ্দিন গোলাপগঞ্জের আছিরগঞ্জের রফিক উদ্দিনের পুত্র।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জহির উদ্দিন গত ২৬ আগস্ট ২০১২ সালে পপি বেগম নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেছেন এবং তাদের ৫ সন্তান রয়েছে। তিনি ছোট থেকেই পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের প্রতিই আকৃষ্ট। গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আলিম উদ্দিন বাবুল। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি গোলাপগঞ্জ ছাত্রলীগেরও একজন নেতা। তিনি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক। তার বাড়ি জহির উদ্দিনে কাছে। জহিরের অবস্থা জানতে পেরে তার বাড়িতে এসে বাবুল জহির, স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে বেড়ক মারধর শুরু করে। তিনি বলেন জহিরের পরিবার সমাজের মধ্যে নিকৃষ্ট। বাবুলের ভাগ্নী পপি অর্থাৎ জহিরের স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। তার কষ্ট দেখে সে সহ্য করতে পারেনি। সে জহিরকে এমনভাবে মারধর করে যাতে জহির তার স্ত্রীকে বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে অন্যত্র চলে যায়। বাবলু হুশিয়ারী দেন জহির অপকর্ম থেকে ভালো না হয় তাহলে তাকে ধ্বংস করা হবে। এদিকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জহির একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল তখন তার বাল্যকালের বন্ধু আকাশের সঙ্গে দেখা হয়। সেখানে আলীম উদ্দিন বাবলুও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে একটি ওয়াশরুমে জহির ও আকাশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় কিছু সময় কাটায়। তখন পপি জহির খুঁজাখুজি করে, একপর্যায়ে আলীম উদ্দিন বাবলুসহ স্বজনরা জোর করে ওয়াশরুমের দরজা ধাক্কা ভেঙ্গে জহির ও আকাশকে দেখতে পায় পরে আকাশকে তুলে নিয়ে যায় আলীম উদ্দিন বাবলুর সহযোগীরা। এসব শুনে আলীম উদ্দিন বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। জহিরের পরিবার ও সমাজের কলঙ্কজনক বলে আমাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
এসব ঘটনায় শত্রুতার জেরে আলীম উদ্দিন বাবলু ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে জহির উদ্দিননের বিরুদ্ধে উভকামী হওয়ার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাকে খুঁজতে শুরু করে। একথা শুনে ঢাকা শহরে আত্মগোপন ছিলেন জহির।