• ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

‘পুলিশ সৎ ও মানবিক না হলে রাষ্ট্র ভালো হবে না’

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
‘পুলিশ সৎ ও মানবিক না হলে রাষ্ট্র ভালো হবে না’

মোঃ নিজাম উদ্দিন : সভ্যতার মানদণ্ড কি? যে দেশে আইন আদালতে সামাজিক ন্যায় বিচারে আইনের শাসন এবং প্রয়োগ আছে। যে দেশে আইন সবার জন্য সমান, সবাই মানে এবং শৃঙ্খলার সহিত চলাফেরা করে তারাই পৃথিবীর সভ্য জাতি।

পৃথিবীর যে কোন দেশ তখনই সভ্য হয় যে দেশের পুরো পুলিশ বিভাগের সমস্ত বাহিনী যখন শতভাগ সৎ এবং মানবিক গুণাবলি নিয়ে দেশ এবং জনগণের সেবক হয়ে কাজ করে। পৃথিবীর একমাত্র রাষ্ট্র সম্ভবত বাংলাদেশ যে দেশে পুরো পুলিশ বিভাগ কলঙ্কিত জনগণের কাছে ঘৃর্ণিত এক আতঙ্কের নাম পুলিশ। বাংলাদেশে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মফস্বলের থানার হাবিলদার পর্যন্ত অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা ঘুষ দূর্নীতি অবৈধ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। অনেক এলাকায় থানার ওসি, সাব ইন্সপেক্টর বালু মহাল, পাথর কোয়ারী, হাট বাজার, সড়ক মহাসড়ক থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় করে। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ার বাজার উপজেলার ইন্ডিয়ার সীমান্তবর্তী বাঁশতলা নামক সীমান্ত দিয়ে প্রতি রাতে ইন্ডিয়া থেকে কয়েকশত গরু, মহিষ, এবং কয়েক মেট্রিকটন চিনি, মাদক দ্রব্য বাংলাদেশের চোরাকারবারিরা অবৈধ ভাবে আমাদানি করে। ইন্ডিয়া থেকে অবৈধ ভাবে গরু, মহিষ, চিনি, মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে ঢুকাতে গিয়ে স্থানীয় দোয়ারা বাজার থানার ওসি নজমুল হক, সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হাসেম চোরাকারবারি প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিরাতে ৪লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে যা স্থানীয় জনগণ অবগত থাকলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলে প্রতিবাদ করার সাহস করেনি। এই বাঁশতলা সীমান্ত দিয়ে প্রতিরাতে কোটি কোটি টাকার গরু মহিষ চিনি মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দোয়ারা বাজার থানার ওসির অনৈতিক সহযোগিতায় প্রতিরাতে এখানে বিশ থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকা চাঁদা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা অবৈধ ভাবে আদায় করে থাকে। ইন্ডিয়া থেকে অবৈধ ভাবে পণ্য বাংলাদেশে ঢুকার কারণে বাংলাদেশের সৎ ব্যবসায়ীরা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অপর দিকে পুলিশের অবৈধ চাঁদাবাজির কারণে অবাধে মাদক দ্রব্য বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ঢুকে স্থানীয় এলাকা সহ দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে। বাংলাদেশে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং ফ্যাসিবাদের কবল থেকে দেশেকে মুক্ত করতে বিভিন্ন সময়ে দেশের মানুষ জীবন বিসর্জন দিলেও, পুলিশের রাষ্ট্র বিরোধী অপতৎপরতা ঘুষ দূর্নীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত দূর্বার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে দেশের মানুষ যুগে যুগে নিষ্পেষিত হবে।

বাংলাদেশের পুলিশ প্রধানের উপর আমেরিকা সেনশন জারি করে, বাংলাদেশের পুলিশ ভাবমূর্তি কতটা তলানিতে এটা তার প্রমান। চরম ঘৃনার এক নাম হল বাংলাদেশের পুলিশ।

যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের পুলিশকে মানবিক পুলিশ করা যাবে না ততদিন সভ্যতা কি জিনিস সেটা দেশের মানুষ কখনও অনুভব করতে পারবে না। আমি দোয়ার বাজার উপজেলার স্থানীয় জনসাধারণের কাছে অনুরোধ করছি থানার অসৎ কর্মকর্তা ওসির রাষ্ট্র বিরোধী অপতৎপরতা ঘুষ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন। পুলিশ বিভাগের সিংহভাগই জড়িয়ে পড়েছে অবৈধ টাকা কামানোর নেশায় যে কারণে রাষ্ট্রের সর্বত্র আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে অনুরোধ করছি দোয়ারা বাজার থানার ওসি নজমুল হক এবং সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হাসেমের ঘুষ দূর্নীতি অবৈধ চাঁদাবাজির তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী করছি। যেখানে অন্যায় অসঙ্গতি যেখানে দেখবো অনিয়ম দূর্নীতি আমি কলম যুদ্ধ চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।