• ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

কালক্ষেপণ না করে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: কমরেড খালেকুজ্জামান

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
কালক্ষেপণ না করে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: কমরেড খালেকুজ্জামান

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে”গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, শিক্ষা ও বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় মিরবক্সটুলাস্হ হোটেল সিলেট ইন এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান, বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, প্রবীণ রাজনীতিবিদ এডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক ডঃ আবুল কাশেম, বাসদ সিলেট জেলা সাবেক আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন,উদীচী জেলা সভাপতি প্রদীপ দেব রায়, শাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক সরকার সোহেল রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ আহমদ, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের আব্দুল করিম কীম, আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ূন রশীদ শোয়েব, বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, গণতন্ত্রী পার্টি জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ,চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর মুখলেছুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ নন্দি, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাশরুক জলিল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মহানগর শাখার সহ-সভাপতি সুমিত রঞ্জন পিনাক, প্রমূখ।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর ও সঞ্চালনা করেন জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল।

মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। শোষণ জুলুম ও অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে বারবার। এবারও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল এই আশায় যে, দুর্নীতি- লুটপাট, টাকা পাচার, দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি এবং মানুষের উপর শোষণ বন্চনা নির্যাতন বন্ধ হবে। শ্রমিক ন্যায্য মজুরি পাবে, কৃষক পাবে ফসলের দাম, বাজার সিন্ডিকেটের কাছে মানুষ জিম্মি হয়ে থাকবে না। নারীরা নির্ভয়ে পথে চলতে পারবে, ধর্মীয় সংখ্যালঘু বলে কেউ আতংকে থাকবে না, পাহাড় সমতলের আদিবাসীসহ সকল জাতিসত্তার মানুষ সমান মর্যাদা নিয়ে দেশে বসবাস করবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রশাসন ও পুলিশ জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন করবে না, মানুষ আদালতে সুষ্ঠু বিচার পাবে,গণতান্ত্রিক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরা পাবে শিক্ষার অধিকার, চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ হবে, বেকারেরা কাজ পাবে, প্রবাসীরা হয়রানীর শিকার হবে না। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই সময়ের শাসনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। বরং সরকারের নানা কার্যক্রম এই সময়ে সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। কমরেড খালেকুজ্জামান সংকট তীব্রতর হওয়ার আগেই কালক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান ‌।