• ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে দেওয়ার চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহবান বাসদের

admin
প্রকাশিত জুন ৯, ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে দেওয়ার চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহবান বাসদের

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে দেওয়া, রাখাইনে মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়ানোর চক্রান্ত এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (৮ জুন) বিকাল ৪টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সিলেট জেলা বাসদ আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেট জেলা আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, সাবেক ব্যাংকার এম এ ওয়াদুদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর যুগ্ম সম্পাদক মনজুর আহমদ, সংগ্রাম পরিষদের মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজ আহমদ, মিজান রহমান,শহিদ নুর প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ না নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পৃথিবীর সেরা বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়া,রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের জাতীয় স্বার্থ , নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত । বক্তারা জাতীয় স্বার্থের সাথে নীতিগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বর্তমান অনির্বাচিত অন্তর্র্বর্তী সরকারের নাই। বক্তারা বলেন,প্রধান উপদেষ্টা ঈদের আগে তার ভাষণে বন্দর নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন তা রাষ্ট্র ক্ষমতার শীর্ষ পদে আসিন কারো পক্ষে এহেন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

বক্তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়া ভাষণে গণআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচন কেন ডিসেম্বরে নয়, কেন এপ্রিলে তার যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দেন নাই। আমাদের দল বাসদসহ বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং দেশের প্রায় ৫০টির অধিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকার এবং জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে একথা বারবার বলেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো যখন চাইবে তখনই নির্বাচন হবে। অথচ গতকাল তিনি দেশের বেশিরিভাগ রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে এককভাবে এপ্রিল মাসে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করলেন। অধিকাংশ দলের মতামত উপেক্ষা করে ১টি দলকে সন্তুষ্ট করতে এপ্রিলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাছাড়া এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে আবহাওয়া পরিস্থিতি, এসএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা, ফেব্রুয়ারি-মার্চ ১ মাস রোজা, তীব্র গরম, বোরো ধান কাটার মৌসুম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম না টেনে বাড়তে দেওয়া ইত্যাদি নানা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে কি না সে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় ডিসেম্বর কিংবা জনুয়ারিতেই নির্বাচন হওয়া যথার্থ ছিল বলে অধিকাংশ দল ও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

বক্তারা অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে দেওয়া এবং রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়ানোর চক্রান্ত বন্ধের আহ্বান জানান।