
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে দেওয়ার প্রতিবাদে ও রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোরের উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে আগামীকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড মার্চের সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
(২৬ জুন) বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে শেষ। আম্বরখানা পয়েন্টে সিলেট জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক,বাসদ আহ্বায়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সুমিত কান্তি পিনাক এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ আহমদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, সিপিবি জেলা সদস্য এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য হৃদেশ মোদি, বাসদ জেলা সাবেক আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডাঃ হরিধন দাশ প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি -হৃৎপিণ্ড। আমদানি ও রপ্তানির ৯২ভাগ এই বন্দর দিয়ে হয়। ভৌগলিক কারণে এই বন্দরের সাথে আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত। লাভজনক এই বন্দর কে বিদেশিদের কাছে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার।
বক্তারা বলেন, সরকার মার্কিন স্যাটেলাইট কোম্পানি স্টারলিংককে এদেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের অনুমতি দিয়েছে।এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি।এই মার্কিন কোম্পানি শুধু নিরীহ ইন্টারনেট সেবাই প্রদান করে না,সেই সাথে দেশে দেশে সামরিক ও রাজনৈতিক নজরদারি চালায়।
বক্তারা বলেন, রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোরের আড়ালে সামরিক করিডোর, স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট এর কথা বলে স্টারলিংককে অনুমোদন দেওয়ার মাধ্যমে মার্কিন গোয়েন্দাগিরির পথ উন্মুক্ত করা, কাতার -তুরুস্ককে অস্ত্র তৈরির কারখানা সবই দেশকে বিপদের মধ্যে ফেলবে।
বক্তারা জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং আগামীকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড মার্চ সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।