
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যুবলীগ নেতা খোকন কিবরিয়ার বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৪নং চন্নারচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারী মোক্তার হোসেন। গত সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় লৌলারচর গ্রামের পাকা রাস্তায় এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় মোক্তার হোসেন দিরাই থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি সিলেট ডিআইজি বরাবরে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, দিরাই উপজেলার মুসলিম তালুকদার, যুবলীগ নেতা খোকন কিবরিয়া, রুহুল আমিন, তফছির আলী, মাহমদ আলী, মামুন মিয়া, বাবুল মিয়া, আব্দুল মতিন, লুবন মিয়া, আলী আমজদ, উমপর ফারুক, ইউনুছ মিয়া, শাহিন তালুকদার, গাজী তালুকদার, উজ্জল তালুকদার, হায়িব তালুকদার, সাগর, আজি।
অভিযোগে মোক্তার হোসেন উল্লেখ করেন, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ৪নং চনারচর ইউনিয়নের লৌলার চর গ্রামের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ এর সেক্রেটারী খোকন কিবরিয়া দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা প্রদীপ রায়ের মাধ্যমে নানা ভুল প্রকল্প তৈরী করে তৎকালীন এমপি জয়া সেনগুপ্তা নিকট থেকে সরকারী অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করে একাধিক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মোক্তার হোসেনের বাড়ীর সামনে সরকারী অর্থে সিসি ঢালাই করা রাস্তার উপর মাটি ভরাট প্রকল্প সাজিয়ে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা সরকারী বরাদ্দ নিয়েছে। বরাদ্ধের টাকায় নুরুল ইসলামের দোকান থেকে ফারুকের ধান শুকানো খলা পর্যন্ত ফাকা রাস্তার উপর ৪০ হাজার টাকার মাটি ভরাট করে। বাকি ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ইউপি সদস্য খোকন কিবরিয়া। রাস্তার পাশে আমার দোকানও বাড়ি। পাকা রাস্তার উপরে মাটি ফেলে রাখায় ঝড় বৃষ্টিতে পানি ‘মার কাঁদামাটি একত্রিত হয়ে রাস্তার জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের চলাচল এবং গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ছে। সড়কটির পাশে মোক্তার হোসেনের বাড়ি ও দোকান এই জনদুর্ভোগ এর কারণে আমার দোকানো বেচাকেনা একেবারে কমে যায়। এক পর্যায়ে তার দোকানের মালামাল আলু, পেয়াজসহ অন্যান্য মালামাল নষ্ট হয়ে তার প্রায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি এখন পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে, এমনকি সব কিছু হারিয়ে নি:স্ব হন। একদিকে লাভবান হচ্ছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, অপরদিকে পাকা রাস্তার উপরে মাটি ফেলে সরকারী অর্থ লুটপাট করে টাকা পাহাড় বানিয়েছে ইউপি সদস্য খোকন কিবরিয়া। পাকা রাস্তায় মাটি ফেলার ফলে মোক্তারের পরিবার পরিজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। মোক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা সত্যতা পেয়েও ইউপি সদস্য খোকন কিবরিয়ার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। এমনকি ইউপি সদস্যের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগিতেছেন। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে ১৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটির বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই থানার তদন্ত ওসি খোকন মেম্বার তার ভাই মামুন, তার পিতা পিআইসির সভাপতি আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তদন্তবকারী কর্মকর্তা। এই নিয়ে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে সন্ত্রাসী খোকন মেম্বার, তাজুল হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামী রুহুল আমিন, আলী আমজাদসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের মোক্তারের পিছনে লেলিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে তিনি গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন। তিনি সিলেট ডিআইজি কার্যালয় মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিস্তারিত ঘটনা বলেন। তার ঘটনা শোনে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম খান ০১৯৭৩৫৭৫৭৫৭ এই নম্বরে ফোন করে দিরাই থানার ওসিকে সন্ত্রাসী মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ০১৩২০১২০৯৪৬ এই নাম্বারে ২০ মে ২০২৫ তারিখে ১২টার দিকে তিনি দিরাই থানায় ওসির সাথে রাত ৮টায় স্বাক্ষাৎ করেন। পরে দিরাই থানার ওসি অনলাইনে আমার একটি জিডি গ্রহণ করেন। কোর্ট থেকে তদন্তের অনুমতি আনেন। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দিরাই থানার ওসি বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
অভিযোগে তিনি আরো বলেন, খোকন কিবরিয়া ৪টি প্রকল্পের সভাপতি, তার পিতা আব্দুল মতিন তালুকদার পিআইসির সভাপতি উদমল, বেড়িবাঁধ লছিমপুরের খাল ভরাটের ১৪ লক্ষ টাকার একটি পিআইসির নেয়। লছিমপুরের খালে ভরাট নামে একটি প্রকল্প জেলা প্রশাসক কার্যালয় হইতে অনুমোন নেয় লৌলারচর গ্রামের মৃত রিফাত উল্লার পুত্র আব্দুল মতিন তালুকদার। উক্ত প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা মাটি ভরাট করে বাকি ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করে আব্দুল মতিন তালুকদার। পিতা-পুত্রের এই সব অনিয়মের বিষয়ে আব্দুল মতিন তালুকদারের বিরুদ্ধে ২৬মে ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে দিরাই থানার নির্বাহী অফিসার সনজীব সরকার। মোক্তারকে কিছু না বলে তার অভিযোগের অভিযুক্তদের সাথে নিয়ে পিআইসির বাঁধ পরিদর্শন ও তদন্ত করে। পরে বিষয়টি তিনি শোনে নির্বাহী অফিসারকে ফোন দেন। তিনি তার ফোন রিসিভ করেননি। আব্দুল মতিনের দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ চেয়েও পিতা-পুত্রের দূর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়ে ৩ জুন ২০২৫ তারিখে আবারও জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ করেন। এই অভিযোগে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রশাসক। ফলে সরকারী অর্থ লুটপাটকারী খোকন মেম্বার, তার পিতা পিএইসি সভাপতি আব্দুল মতিন তালুকদার আরোও বেশি বেপরোয়া হয়ে পরে। বিগত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ থেকে মেম্বার সকাল ১০টায় মোক্তারের বসতবাড়ির সামনে শামারচজর বাজার রোডের পাশে একটি পাকা রম্ভা ঐ গ্রামের ভিতর পর্যন্ত এ রাস্তা অবস্থান। এই পাকা রাস্তা দিয়ে ১০/১৫ গ্রামের মানুষেরা চলাচল করে এটি একমাত্র রাস্তা। এই রাস্তা ভেঙ্গে ফেলার জন্য খোকন মেম্বারের নেতৃত্বে মুসলিম তালুকদারের বাড়িতে একটি গোপন মিটিং হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে ঐ পাকা রাস্তা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুসলিমের নির্দেশে ১৮ জনের সন্ত্রাসী চক্র হাতে দা, কোদাল, লোহার শাবল, লাটি-সোটা নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে মোক্তারের বসতবাড়ির সামনে সরকারি পাকা রাস্তা এসে মুসলিমের হুকুমে ২নং হতে ৫নং বিবাদীগণ লোহার শাবল দ্বারা সরকারী পাকা সড়ক ভেঙ্গে ফেলে। ৬নং ও ৭নং সন্ত্রাসী কুদাল দিয়ে মাটি কেটে গর্ত করতে শুরু করে। মোক্তার তা দেখে রাস্তা ভাঙ্গতে নিষেধ করলে ১০নং সন্ত্রাসী তাকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুকুম করলে মাদক ব্যবসায়ী মাদক সেবী সরকারী অর্থ লুটপাটকারী ২নং সন্ত্রাসী খোকন কিবরিয়া হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে মোক্তারকে মেরে তার বুকে ডান হাড়ে লীলাফুলা জখম করে। ১২নং বিবাদী তার পড়নের লুঙ্গি টেনে ছিড়ে ফেলে। অন্যান্য বিবাদীগণের হাতে থাকা লাটিসোটা দ্বারা এলোপাতারী মারপিট করে তার উভয় হাতে পায়ে পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। ৬নং বিবাদী মামুন মোক্তারের পড়নের পাঞ্জাবী ধরে টেনে বেশ অংশ ছিড়ে ফেলেন। ১৩নং সন্ত্রাসী শাহীন তার পাঞ্জাবী পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় যায়। ১৮নং সন্ত্রাসী তাকে গালে বাম পাশে ঘুশি মেরে তার দাঁত ভেঙ্গে ফেলে। এই সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় তিনি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে গত বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি জানান। পুলিশ সুপার দিরাই থানার ওসিকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড করেননি দিরাই থানার ওসি। মোক্তাদের পরিবারের জীবন বিপর্যস্ত। তিনি এই বিষয় নিয়ে প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছেন কেউ অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
অভিযোগে মোক্তার হোসেন আরো বলেন, আব্দুল মতিন তালুকদার তার ছেলে ইউপি সদস্য খোকন কিবরিয়া ও তার ভাই আল মামুন তার চাচা রব্বানি তালুকদার তারা ৩ জন মিলে আব্দুল মতিনের নির্দেশে স্থানীয় এলাকায় লৌলারচর ও মিলন বাজারে ক্রাইম স্পট নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইউপি মেম্বার খোকন কিবরিয়া শুধু সরকারি অর্থ লুটপাট করে তা নয় আওয়ামীলীগের ১৭ বছরের শাসন আমলে সে স্থানীয় এলাকায় মাদকের হাট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। সে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে দুটি মোটর সাইকেল ক্রয় করে। সেই মোটরসাইকেল দিয়ে সিফাডুফি গ্রাম থেকে রমজানের বাড়ি থেকে চোলাই মদ আনে এবং প্রকাশে বেচা কেনা করে থাকে। এই বিষয় আড়ালে অনেকেই অনেককে দায়ী করলেও প্রকাশ্যে মুখ খুলে কিছু বলার সাহস কারও নেই। এখন খোকন কিবরিয়ার দাফট এখানে চরমে। খোকন বাহিনীর কাছে এলাকার মানুষ জীম্মী হয়ে পরেছে। খোকন এলাকায় মদের ডিলার বলে পরিচিত, তার ভাই মামুন তালুকদার স্থানীয় এলাকায় জোয়ার হাট নিয়ন্ত্র করে আসছে। আওয়ামীলীগের নেতা আলামীন চৌধুরীর গাড়ির ড্রাইভার মামুন আলামীন চৌধুরী আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে আল-মামুন স্থানীয় এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। লৌলারচর মিলন বাজারে চিহ্নিত জোয়ারিদেরকে নিয়ে গঠন করেন একটি শক্তিশালি জোয়ার বোট। এই জুয়ার বুট নিয়ন্ত্র করে মামুন। মামুনের আমন্ত্রণে চিহ্নিত জুয়ারিরা লৌলারচরে মিলন বাজারে একত্রিত হয়ে মিলন বাজারের পাশে এক মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি দখল করে মামুন চালায় জুয়ার আসর। সন্ধ্যা রাত থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই জুয়ার আসর। প্রশাসনের কথা বলে জুয়ার আসর থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মামুন। এই জুয়ার আসর থেকে টাকা পয়সা হারিয়ে জুয়ারীরা বিভিন্ন গ্রামে চুরি, ডকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। মামুনের নেতৃত্বে জুয়ার খেলা চালাকালীন অবস্থায় ৫ জন পাহারাদার নিয়োগ করে মামুন। আওয়ামীলীগের আমলে দিরাই থানার এসআই অরূপের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জুয়ার আসর থেকে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন আল-মামুনকে দিরাই থানার পুলিশ। আওয়ামীলীগের নেতা আলামীন চৌধুরীর তদবিরে ছাড়া পান মামুন। মামুন ছাড়া পেয়ে আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নানা সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। খোকন কিবরিয়ার চাচা রব্বানি তালুকদার ভারত থেকে চোরাই পথে গাজা এনে বিভিন্ন স্পটে সাপ্লাই দিচ্ছে এবং তার বাড়িতে এনে ছোট ছোট পুটলা করে ৫০, ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার করে বিক্রয় করে আসছে গাজার পুটলা প্রকাশ্যে বিক্রয় করে আসছে। সন্ধ্যার পরে লৌলারচর গ্রামের মুচি বাড়িতে বসে মদ গাজার আসর। এই আসর থেকেই দিরাই থানার একদল পুলিশ এসআই অরুপের নেতৃত্বে রব্বানি তালুকদারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় আবার গাজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত বিষয় প্রতবাদ করায় লৌলারচর গ্রামের তাজুল হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামী রুহুল আমীন, আলী আমজাদ তালুকদার, আজী তালুকদার, মাহমুদ আলী তালুকদার, এইসব সাজাপ্রাপ্ত আসামীদেরকে মোক্তারের পিছনে লেলিয়ে দিচ্ছে। এই সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে খোকন মেম্বার এর সাথে গোপন মিটিং করে। তাদের হাতে নিহত তাজুল ইসলামের সম্পদ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গা দখল করে ফেলেছে। ৪ বছর পূর্বে মোক্তারের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে এবং আওয়ামীলীগের হামলা থেকে বাচতে ইউপি পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে আমি একটি বক্তব্য প্রদান করেন। আমার সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ খোকন কিবরিয়া তার চাচা সুইটল এর মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আজ থেকে ২০ বছর পূর্বে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সাথে আমি জড়িত এবং সিলেট মহানগর লালদিঘী ইউনিট কমিটির একজন সদস্য। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চরাচ্ছে এবং তার চরিত্র হননের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। এমনকি তার ঘরবাড়ি তার দোকানপাট ভেঙ্গে ফেলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছে। এই সন্ত্রাসীদের হুমকি দুমকি থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতহায় ভুগছেন মোক্তার হোসেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসন সহ সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন।