• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জগন্নাথপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২০, ২০২৩
জগন্নাথপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবী ও নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান প্রতিস্থাপনের দাবীতে আজ শুক্রবার বাদ জুমা বেলা ২ঘটিকায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ডাক বাংলো মাঠে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এর উদ্যোগে মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশের প্রস্তুতি নিলে, পুলিশ এতে বাধা দেয়ার কারণে পণ্ড হয়ে যায় কর্মসূচি। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বিএনপি ও পুলিশের মাঝে সংঘর্ষ বাধে, স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এসময় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে, পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পূর্বে জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু হোরায়রা ছাদ মাষ্টারের নেতৃত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোসাব্বির আহমদের পরিচালনায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল হক। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মল্লিক মঈন উদ্দিন সুহেল। জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মুকিত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুস সোবহান, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামসুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তকব্বুর হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রিপন আহমদ, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাপ মিয়া, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক, মোঃ নূরুল আলম, ছাত্রদল পাটলি ইউনিয়ন দপ্তর সম্পাদক মুহিত মিয়া আফজল, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ডাঃ রাজা মিয়া, আশারকান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফজলু হক কাবেরী,সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম খান, কলকলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, হুমায়ুন কবির, বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুস ছালাম, জগন্নাথপুর পৌর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক আহমেদ, পৌর বিএনপি নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিল, আনহার মিয়া, শফিকুল ইসলাম খেজর, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ সুহেল আহমদ খান টুনু, জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জুবেদ আলী, পৌর যুবদলের আহবায়ক লিটন মিয়া লেখন, যুগ্ম আহবায়ক শামীম আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হাজী মোঃ হারুনুর রশীদ, সদস্য সচিব নাসিম আহমেদ রুহেল, জগন্নাথপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নূরুল আমীন, জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইউসুফ মিয়া, লেবু মিয়া, মোঃ রাসেল বক্স, সদস্য খায়রুল ইসলাম,সালাম আহমেদ, মোঃ রুহেল চৌধুরী, ওদুদ কামালী, রুকন মিয়া, আব্দুস সালাম, সুহেক আহমদ, কলকলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সেলিম আহমদ, রানীগঞ্জ যুবদলের সভাপতি সাদিক মিয়া, মীরপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, আশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, কলকলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল আহমদ, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া, পাটলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রোপন মিয়া, উপজেলা যুবদল নেতা জুনেদ আহমদ, আক্তার মিয়া, ছদরুল ইসলাম, লেবু, দিলবাস চৌধুরী, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বিলাল আহমদ, তারেক আহমদ, আকমল হোসেন, আবুল হোসেন রাব্বি, সদস্য রোকন মিয়া, মঈনউদ্দীন আহমেদ, সাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আব্দুল মনাফ, ফজলুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মামুনুর রশিদ মামুন,সদস্য সচিব শামসুল ইসলাম জাবির, সদস্য মুস্তাক আহমদ সাহেল, জগন্নাথপুর পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ইমন আহমদ,যুগ্ম আহবায়ক জুনায়েদ আহমেদ হামজা,যুগ্ম আহবায়ক মারজান আহমদ, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মারজান আহমদ চোধুরী, সদস্য হেলাল আহমদ উপজেলা ছাত্রদল নেতা মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী,শেখ সাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু হোরায়রা ছাদ মাষ্টার বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ পুলিশ বাধা প্রদান করে কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ২০/২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন এবং প্রায় ৪০/৪৫ জনের মতো নেতাকর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা বিএনপির সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক, মোঃ নূরুল আলম, এবং ছাত্রদল পাটলি ইউনিয়ন দপ্তর সম্পাদক মুহিত মিয়া আফজলের নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের আক্রমণে প্রায় ৬জন পুলিশ সদস্য মারাত্মক আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ সচেষ্ট ছিল।তারা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সাধারণ জনগণের জানমালের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে সেটি বিবেচনা করেই আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করেছি। এবং নাশকতা, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমাদের বিশেষ অভিযান চলছে। অভিযান শেষে সবকিছু জানানো হবে।