• ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জীবনের নিরাপত্তা ও জুলুম অত্যাচারের বিচার চেয়ে সিরাজুল ও শাকিলদের বিরুদ্ধে জিডি কাল হল আবুল মনসুরের

admin
প্রকাশিত জুলাই ৪, ২০২২

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে সিরাজুল ইসলাম ও শাকিলদের বেধড়ক মারধর ও হামলার শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে থানায় জিডি করেও রক্ষা পাননি মো: আবুল মনসুর। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মো: আবুল মনসুরকে অতরকিত হামলা হুমকি দিয়েছিল তারা। তাদের হামলায় মো: আবুল মনসুরের মাথা, কান, কোমর সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিরাজুল ইসলাম ও শাকিলদের বিরুদ্ধে জিডি করেন মো: আবুল মনসুর। কিন্তু এ জিডির পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করাই তার হুমকির জীবন বিপদজনক কারণ হয়ে ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো: আবুল মনসুর একজন নিরীহ মানুষ। তার নিজ জমি দুবৃর্ত্তদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলা শিকার হন তিনি। এঘটনায় থানা জিডি করেও তাদের চক্ষুশূল হন তিনি। সিরাজুল ইসলামের দলবল বিভিন্ন চক্রান্তের মধ্য ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যায়। দীর্ঘ দুই বছর পরে তারা মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক পুরনো বসত বাড়ি পুরানের মামলা দেন মো: আবুল মনসুরে বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তাদের ভয়ে জীবন রক্ষার্থে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে তার বন্ধুর বাড়ি থাকতেন কামাল বাজারে। কিন্তু ঐ বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ভাড়া করা লোকজন নিয়ে হামলার চেষ্টা করলে তারা হামলা করতে পারেনি। এই হামলার কিছুদিন পরে মো: আবুল মনসুরকে গ্রেফতার করে দক্ষিণল সুরমা থানা পুলিশ। পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মো: আবুল মনসুরের থানায় মামলা হয়েছে। থানার পুলিশের তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে। ঐদিন জগন্নাথপুর থানা পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। মো: আবুল মনসুর ১ মাস কারাবরণের পর জামিনে মুক্ত হন। তিনি সিরাজুল ইসলাম এর আত্বীয় জামালের মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও হয়রানী থেকে মুক্তি দাবি জানাচ্ছেন গনমাধ্যমের মধ্যদিয়ে।

জিডির পর জগন্নাথপুর থানা পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দায়িত্ব দেওয়া এস.আই  বদলি হওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে। তবে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মো: আবুল মনসুরের বাবা বলেন, আমার ছেলে আবুল মনসুর জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, আমার সবকিছু শেষ। আমার ছেলের উপর মিথ্যা মামলা হয়েছে। আমি তাদের সবোর্চ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।