• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ওসমানীনগরে এলডিপি নেতার উপর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলা

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২১
ওসমানীনগরে এলডিপি নেতার উপর আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলা

প্রতীকী ছবি

ওসমানীনগর প্রতিনিধি  : ওসমানী নগরের বেগমপুর বাজারে স্থানীয় এলডিপি নেতা রাসেল আহমদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন রাসেল আহমদ। বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় বেগমপুর বাজারে এই ঘটনাটি ঘটে। আহত রাসেল আহমদ স্থানীয় ফরিদাবাদ বেগমপুরের মোঃ তুরাব আলীর পুত্র, সে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) স্থানীয় নেতা। হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

জানা যায়, এলডিপি নেতা রাসেল আহমদের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় ক্যাডার শামীম ও সেলিমের পূর্ব বিরোধ ছিল। রাজনৈতিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে বেগমপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরার পথে বাজারের সন্নিকটে আওয়ামী লীগ ক্যাডার শামীম, সেলিম ও রিপনের নেতৃত্বে ৫টি মোটরবাইকে ১০/১২ জনের একটিদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার পথরোধ করে। রাসেল আহমদ কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাতড়ি কিল, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে রাসেল আহমদ চিৎকার করলে পাশবর্তী বেগমপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ছুটে আসেন। ব্যবসায়ীরা আসতে দেখে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হামলায় রাসেল আহমদের বুকে, হাতে ও পায়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বর্তমানে সে ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভিকটিম রাসেল আহমদের পিতা ব্যবসায়ী মোঃ তুরাব আলী বলেন, আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে এলডিপি ছেড়ে তাদের সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগে যোগদান করতে বলে, আমার দোকানে গিয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। আমি ও আমার ছেলে তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় আগেও তারা হুমকী দিয়েছে, হামলা করেছে। আজ আমার ছেলেকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়ে ছিল। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ায় এই যাত্রায় আমার ছেলে প্রাণে বেঁচে গেছে। এই অবস্থায় আমার ছেলে ও আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছি।