
ওসমানীনগর প্রতিনিধি : সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা মঞ্জুর আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোছাঃ তাহেরা বেগম নামের এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, ওই ছাত্রীর বাবা মোঃ তজম্মুল আলী জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ সরকারের সমালোচক ছিলেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামীলীগ কর্মীদের হামলায় তিনি পঙ্গুত্ববরণ করেন। এরপর থেকেই তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।
অভিযোগে বলা হয়, বাবার ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি এবং তার সহযোগীরা ওই পরিবারের সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। মঞ্জুর আলমকে স্থানীয়ভাবে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কলেজ থেকে অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে মঞ্জুর আলম ও তার দুই সহযোগী তাহেরাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে অপহরণ করে। টানা দুই দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে চোখ বেঁধে একটি ভবনের তিনতলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। মারাত্মকভাবে আহত হলেও স্থানীয় লোকজন তার চিৎকার শুনে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ রাজনৈতিক প্রভাবশালী মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বরং তাকে এ বিষয়ে চুপ থাকতে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুর আলম বা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।