• ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

“সিলেটে স্থাপনা ভেঙে হবে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল “স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চনা আর চলবে না”

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০২৫
“সিলেটে স্থাপনা ভেঙে হবে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল “স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চনা আর চলবে না”

জেলা প্রশাসক ঘোষণা করেছেন আগামী দুই মাসের মধ্যে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে; সামাজিক সংগঠন ও ছাত্র-জনতা ভূমিখোর ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ ঘোষণা করেছে।

সিলেট শহরের ঐতিহ্যবাহী আবু সিনা ছাত্রাবাস ভেঙে যে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল—এ উপলক্ষে গত কয়েক মাস ধরেই তীব্র বিতর্ক, আন্দোলন ও চক্রান্তের অভিযোগ ওঠেছে। কেউ সেটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসাবে ধরে রাখার দাবিতে ছিল, আবার কেউ তা বাণিজ্যিক বা পাঁচ-তারকা হোটেলে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেছিল—তবে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ও সচেতন নাগরিকরা এ ভূমি-দখল ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করে এসেছে।

জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল ঘোষণায় জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই স্থানে ২৫০ শয্যার একটি আধুনিক সরকারি হাসপাতাল চালু করার উদ্যোগ নেবে। ঘোষণাটি পেয়েই শহরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সচেতন নাগরিকরা আনন্দসহ নিশ্চিতভাবেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা ঘোষণা করেছে যে—এই হাসপাতাল বাস্তবায়নে কোনোরকম ষড়যন্ত্র বা দখলদারদের নিকটথেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।

সামাজিক সংগঠনগুলোর দেওয়া যৌথ বিবৃতির মূল বক্তব্য —
> “ইতিহাস মূল্যবান, কিন্তু ইতিহাসকে মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করাই প্রকৃত প্রয়োগ। একটি পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস রেখে দেওয়া সমাধান হতে পারে না; এখানে প্রকৃত প্রয়োজন গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা।”

ঘোষণায় অংশ নেয়া প্রধান সংগঠনগুলো:
বৈষম্য বিরোধী সর্বস্তরের ছাত্র জনতা (জুলাই ’২৪)

সিলেট সচেতন নাগরিক সমাজ

গ্লোবাল সিলেট সোসাইটি

তারুণ্যের ‘৮০র দশক সিলেট

গণমুখী সংগঠনগুলোর স্পষ্ট দাবি ও বার্তা:

“এই হাসপাতাল আমরা চাই, আমরা চেয়েছি, আর ইনশাআল্লাহ পেতেই যাচ্ছি।”

“সিলেটের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আর কোনো প্রহসন চলবে না।”

“জনগণের প্রাপ্য অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”

“এই হাসপাতাল প্রাইভেট ক্লিনিক মাফিয়াদের জন্য নয়, সিলেটের অসহায় মানুষের জন্য।”

সংগঠনগুলোর একজন প্রতিনিধি বলেন, “যারা ভবনটি বাণিজ্যিক স্বার্থে দখল করে আলোকিত মানবকল্যাণকে পেছনে ফেলতে চেয়েছিল, তাদের ইতিবাচক গণবিরোধিতার মুখে বাধা ঘটবে।” তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভবনটি সরকারি হাসপাতাল হলে শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও দরিদ্ররা সুফল পাবে এবং স্বাস্থ্যসেবার আক্ষরিক অর্থে গণতান্ত্রিকীকরণ ঘটবে।

নাগরিক ফোরামগুলো আগামীদিনে আইনগত মনিটরিং, জনজাগরণ কর্মসূচি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা ভেবে রেখেছে। তারা অনুরোধ করেছে—সকল ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরের মানুষ বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং কোনো মিথ্যাচার বা দানশীল একটি গোষ্ঠীর আগ্রাসনে ভুগবেন না।

“ভূমিখোর দখলবাজদের বিরুদ্ধে, জনগণের হাসপাতালের পক্ষে”

“সিলেটের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হবে না”

“২৫০ শয্যার হাসপাতাল আমাদের অধিকার, কোনো মহলের দান নয়”

“প্রাইভেট ক্লিনিক সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, সরকারি হাসপাতাল চালু করো”

প্রশাসনিক ঘোষণার বাস্তবায়ন ও নির্দিষ্ট সময়সীমা বিষয়ক আরও তথ্য জানার জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সংগ্রহ করে পুনরায় প্রতিবেদন প্রকাশ করব।