নিজস্ব প্রতিবেদক:: আকবরকে গ্রেফতারের ঘটনায় জেলা পুলিশেরে এক জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি ফরিদ উদ্দিন বলেন, সিলেট জেলা পুলিশ ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে আজ সোমবার সকাল ৯টায় আকবরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশের কাছে খবর আসে আকবর ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। এ খবর পেয়েই কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এরপর তাকে সকাল ৯টায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
এসপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) বেনজির আহমদ স্যারের প্রত্যেক্ষ নিদের্শে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিনের পরামর্শে আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আকবর গ্রেপ্তারে কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযান পরিচালনা করেছেন।’
এসপি বলেন, জেলা পুলিশের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানেই আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মানুষের সহযোগিতা নিয়ে তাকে ধরেছি। ভারতে কে, কেন, কিভাবে ভিডিও করেছে আমরা জানিনা। তবে আকবরকে গ্রেপ্তারে আমাদের কিছু বিশ্বস্থ বন্ধু আমাদের সহযোগিতা করেছে।
আকবরের সহযোগী নোমানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে এসপি বলেন, যেহেতু মূল আসামীকে ধরা হয়েছে, তাই তাকেও ধরা হবে।
আজ রাত ৯টার দিকে পিবিআই’র কাছে আকবরকে হস্তান্তর করা হবে, একথাও বলেন এসপি।
সংবাদ সম্মেলননে ডিআইজি মফিজ উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, অপরাধ করে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধী যেই হোক, যে বাহিনীর-ই হোক তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
এসপি ফরিদ উদ্দিন আরো বলেন, যথাযথ শাস্তির উদ্দেশ্যে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পাদন করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা করা হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইশৃঙ্খলাবাহিনী এটাই প্রমাণ করেছে, আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তাকে অবশ্যই বিচার পেতে পবে।
এসআই আকবর জঘন্য কাজ করেছে বলেছেন এসপি ফরিদ উদ্দিন। সিলেটের শান্তিপ্রিয় মানুষের উদ্দেশ্য করে এসপি বলেন, আপনারা জানেন যে, এমসি কলেজের ঘটনায়ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আকবরকে গ্রেপ্তার করে তা আরো পরিষ্কার হয়েছে। ভবিষ্যতেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ধারা অব্যাহত থাকবে। আকবর পালানোর সাথে পুলিশের কোন কর্মকর্তা জড়িত থাকলে বা কারো গাফিলতির প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।