একুশেনিউজ ডেস্ক:: বিশ্বনাথ খাইরঘাট দাখিল উলুম মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী আব্দুল মতিন খান হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড ও ৩ জনকে বেখসুর খালাসের রায় ঘোষনা করেছেন সিলেট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভুইয়া।
আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) এ রায় ঘোষনা করা হয়। রায়ে মামলার ১নং আসামী মোফাজ্জল হোসেনকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। বাকী ৩ আসামী তারেক আহমদ দুলন, সুরুজ আলী ও সুন্দর আলীকে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের ১১ জুন ভোর রাতে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আব্দুল মতিন খানকে কে বা কাহারা হত্যা করে। এ ঘটনায় আব্দুল মতিনের মেয়ে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা আসামী করে বিশ^নাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানায় মামলা নং- ১১২/২০১৪। মামলার পর পুলিশ মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উদঘাটন করেন।
মামলার তদন্ত শেষে বিশ^নাথ থানা পুলিশ মোফাজ্জল হোসেন, তারেক আহমদ দুলন, সুরুজ আলী ও সুন্দর আলীকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন। আদালতে দায়রা মামলা নং- ৯৫৬/১৪।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে সোমবার মোফাজ্জল হোসেনকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার জরিমানা প্রদান করেন আদালত। এ হত্যার সাথে কোন সম্পৃক্ত না থাকায় বাকী ৩ আসামীকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মোঃ আব্দুস সাত্তার। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর পক্ষে লিগ্যাল অ্যাইডের আইনজীবী মামলা পরিচালনা করেন। এই মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. ইকবাল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আমার ৩ জন মক্কেল এই মামলায় ন্যায় বিচার পেয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের যুগান্তকারী রায় প্রচারের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ডিএস