একুশেনিউজ ডেস্ক::
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগরের সহ-সভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করলে প্রথমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করতে হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে যার সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে তিনি হলেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল এম.এ.জি আতাউল গনি ওসমানী। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম জেনারেল পদবীর কর্মকর্তা। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ১৯৪৮ ও ৬৫ সালের পর ভারত-পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধে বিরত্বের সালে অংশগ্রহন করেছিলেন। তিনি একমাত্র অফিসার যিনি একযুগে তিনটি দেশের সশস্ত্রবাহিনী অর্থাৎ তিনি ব্রিটিশ ভারত সেনাবাহিনী, পাকিস্তান সেনাবহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। বিশে^র ইতিহাসে চারটি বড় বড় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে একমাত্র বাঙ্গালী মুসলমান অফিসার ছিলেন তিনি।
জেনারেল ওসমানী তখন বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করায় পাকিস্তানীরা তাকে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বেই বরখাস্ত করে ও গ্রেফতার করে তার উপর অমানষিক নির্যাতন চালায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১টি সেক্টরে ভাগ করে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। এর ৯মাসের মধ্যেই পাকিস্তান বাহিনী শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত পাক বাহিনী শুধুমাত্র ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছিলো নাকি বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় যৌথ বাহিনী (মিত্র বাহিনী) কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল? নিয়াজির আতœসমর্র্পন অনুষ্ঠানে জেনারেল জগজিৎ সং অবোরর সাথে কেন জেনারেল এমএজি ওসমানীকে থাকতে দেওয়া হলো না। তিনি কখন কোথায় ছিলেন এ বিষয় নিয়ে আজ কেউ কোন কথা বলেন না। এটা খুবই দুঃখজনক।
ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট মহানগরের ১৪নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮টায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
১৪নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলমের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা শরফ উদ্দিন খান, ইসলামী আন্দোলন ১৪নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মো. শাহজালাল, সহ সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সেক্রেটারী মো. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন ২৩নং ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ ওলিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান, ১৪নং ওয়ার্ড যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ইজাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক তাজুল ইসলাম প্রমুখ।