একুশেনিউজ ডেস্ক::
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দাঁতের ডাক্তার না হয়েও দিব্যি চেম্বার খুলে বসে আছেন এক ব্যক্তি। নিয়মিত রোগীও দেখছেন। নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন দন্ত চিকিৎসক হিসেবে। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি সাইনবোর্ড এবং প্রেসক্রিপশনে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে এতদিন ধরে রোগী দেখছিলেন, সেই রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি জাল। ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
সরেজমিনে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টুকেরবাজারে ‘নরসিংদী ছামিয়া ডেন্টাল কেয়ার’ নামে একটি দন্ত চিকিৎসালয় পরিচালনা করে আসছেন মো. মাইনুল হোসাইন আমান। তিনি নিজের নামের পাশে যোগ্যতা হিসেবে ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল ঢাকা রেজি নং-৪৫৮৩৪৩১, ডি.ডি.টি. ঢাকা এন্ড ফার্মাসিস্ট রেজি. নং-৬৩৮১ ব্যবহার করে আসছেন।
জানা গেছে, তিনি অন্য এক দন্ত চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর (৬৩৮১) ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। মাইনুল হোসাইন আমান তার দন্ত চিকিৎসালয়ের সামনের সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড এবং ব্যবস্থাপত্রে ৬৩৮১ রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে বোকা বানিয়ে আসছেন। শুধুমাত্র একটি ডিপ্লোমা কোর্স করেই তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন মানুষের কাছে। এ ব্যাপারে রোববার কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও’র কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. আব্দুল আউয়াল।
মুঠোফোনে কথা হয় ভুয়া ডাক্তার মো. মাইনুল হোসাইন আমানের সাথে। ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি এনআইটি থেকে ডিপ্লোমা কোর্স করেছি। এনআইটিতে ঢুকে ৪৫৮৩৪৩১ নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে আমার সব তথ্য পেয়ে যাবেন। আমি বড় ধরণের কোনো অপারেশন তো করছি না। কুমিল্লার এক ডেন্টিস্টের রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি কম্পিউটার টাইপিংয়ের ভুলে আমি এতদিন ব্যবহার করেছি। পরে আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই চিকিৎসকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং আমার সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড থেকে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর সরিয়ে দিয়েছি। নামের আগে ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করা তার অন্যায় বলেও স্বীকার করেন মাইনুল হোসেন আমান।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।