নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় আজ শুক্রবার দুইজনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুর্ঘটনা দুটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও সিলেটের গোলাপঞ্জ উপজেলায়। এতে এক যুবক ও এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২ জন।
জানা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ডাবরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১ জন নিহত ও ২জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত যুবক শান্ত রায় (২২)। তিনি দিরাই থানার ছন্নাড়চর ইউনিয়নের ছন্নাড়চর গ্রামের গ্রামের পান্ডপ রায়ের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট থেকে দিরাইয়ের ছন্নাড়চরে যাওয়ার উদ্দেশে বন্ধুদের সাথে রওয়ানা দেন শান্ত রায়। সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাগলা সংলগ্ন ডাবরের মাহদি অটো রাইস মিলের সামনে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় মোটরসাইকেল (সিলেট-ল-১১ ৭১৩৩)সহ ৩ আরোহী। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শান্ত রায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আরো এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত বৃদ্ধা সালমা বেগম (৬০) গোলাপগঞ্জের পশ্চিম ধারাবহর নালী বাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল মুমিনের স্ত্রী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সালমা বেগম গোলাপগঞ্জের ধারাবহরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন। গোলাপগঞ্জ-ঢাকা দক্ষিণ সড়কের ধারাবহর এলাকার ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা দ্রুত গতিতে এসে সালমা বেগমকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সালমা বেগমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সালমা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ময়না তদন্ত শেষে সালমা বেগমের লাশ শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মুত্যুর বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে সিলেট কতোয়ালী থানায় মামলা হবে বলে জানান তিনি।