একুশেনিউজ ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জাদুকাটা নদীর পাড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক জায়গা দখল করে নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলনের অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিপন আহমদ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী বাদাঘাট এলাকার তোতা মিয়া ও পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান চৌধুরীর পুত্র মুহিবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন বন্ধের জন্য তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনকারী শিপন আহমদ তাহিরপুরের বাদাঘাট বাজার পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম পুত্র।
তিনি জানান, তোতা মিয়া ও মুহিবুর রহমান শ্রমিক দিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিপন মিয়ার জাদুকাটা নদীর তীরে অবস্থিত জায়গা থেকে জোরপূর্বক মাটি কাটার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন। প্রতিদিন অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করায় ওই এলাকায় কয়েকশ’ একর জমি ও নদীর পাড়ের বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি দিলে বা নদীতে জোয়াড় আসলেই নদীরপাড় ভেঙ্গে শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলী জমি নদীমুখে বিলীন হতে পারে- এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে মাটিখেকো তোতা মিয়া ও মুহিবুর রহমানকে বাঁধা দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয় এবং মাটি কাটা নিয়ে কোন কথা বললে হাত-পা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মাটিখেকোরা। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়।
এ ঘটনায় শিপন আহমদ পরিবার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যেকোন সময় মাটিখেকো তোতা মিয়া ও মুহিবুর রহমানে লোকজন বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে।
শিপন আহমদ ও তার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে ও তাদের জমি থেকে মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে তিনি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে এ আবেদন করেন।
শিপন আহমদ জানান, তিনি ৯৯৯ ও ৩৩৩ তে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে তিনি সরাসরি থানায় বারবার পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তাকে কোন সহায়তা করেনি। উল্টো পুলিশী নিরাপত্তায় তোতা মিয়া ও মুহিবুর রহমান নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করছেন। মাটি উত্তোলন বন্ধে তিনি সরকার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য কামনা করেছেন।