স্টাফ রিপোর্ট: বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে সিলেটবাসী।
জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টায় সিলেটস্থ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া সদর দপ্তর এবং জালালাবাদ সেনানিবাসে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে তারা দিনের কর্মসূচি শুরু করে।
র্যালিতে জাতির পিতার ছবি এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণী সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সুসজ্জিত করা হয় দুটি সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশপথ এবং গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা।
মসজিদে আয়োজন করা হয় বিশেষ মোনাজাত। এছাড়া জাতির পিতার স্মৃতি স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাসার, জালালাবাদ সেনানিবাসের কমান্ডেন্ট মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারিসহ ইউনিট সমূহের অফিসার ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যবৃন্দ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল ৯টায় সিলেট জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয়, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)
এদিন সকালে নগরভবনে কেক কেটে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এদিন কেক কেটে জন্মবার্ষিকী পালন করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীসহ কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া নগর ভবনসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২১ দিনব্যাপি আলোকসজ্জা করেছে সিসিক।
সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কেক কেটে জাতির পিতার জন্মদিন পালন করা হয়। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে র্যালি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স
বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ। চেম্বার নেতৃবৃন্দ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদসহ চেম্বারের সদস্যবৃন্দ।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিকেল চারটায় সিলেট জেলা পরিষদের আয়োজনে শুরু হবে তিন দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব’। আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মুজিববর্ষকে বর্ণিল সাজে সেজেছে সিলেট নগরী। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে সাঁটানো হয়েছে উৎসব লোগো সম্পর্কিত ব্যানার, ফেস্টুন। জাতির পিতার জন্ম উৎসবকে রঙিন করে তুলতে আলোকসজ্জা ডিজিটাল প্রচারণায় ভাসছে সিলেট।