বাঘার ডাক (গোলাপগঞ্জ) প্রতিনিধি:: সিলেটের গোলাপগঞ্জের জালালনগর গ্রামে বাঘা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও নর্থ সুরমা একাডেমীর পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় এক সন্ত্রাসীর গুলিতে নাজিম উদ্দিনের গৃহকর্মী মকবুল হোসেন নিহত হয়েছেন। নাজিম উদ্দিন জালালনগর গ্রামের মো. তজমূল আলীর পুত্র।
গতকাল শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাত ২টার দিকে জমিজমা বিরোধের জেরে নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় তারই চাচাতো ভাই কিজির আহমদ। প্রায় ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। সন্ত্রাসীরা নাজিম উদ্দিনের বাবা, ভাই ও তার স্ত্রী-সন্তানকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। প্রত্যেকের শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়। পাশবিক নির্যাতনে তারা গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে কিজির আহমদের নির্দেশে তার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। চারদিকে আগুনের লেলিহান দেখে নাজিম উদ্দিনের গৃহকর্মী মকবুল হোসেন পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ডাকাত-ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এসময় কিজির আহমদ তার বুকে গুলি করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মকবুল হোসেন নিহত হন।
এ ঘটনায় মো. নাজিম উদ্দিন জানান, পুলিশী মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে আমি পলাতক ছিলাম। এ সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আজমল আলী নেপুর মিয়ার নির্দেশে জমি সংক্রান্ত বিরোধে জের ধরে আমার চাচাতো ভাই কিজির আহমদ এ হামলা চালায়। তিনি বলেন, হামলায় আমার গৃহকর্মী মকবুল হোসেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু আমি এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিতে পারছিনা। মিথ্যা একটি চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তারের জন্য হন্যে হয়ে খুজছে।
গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল হক শিবলী জানান, নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে, তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মকবুল হত্যা ঘটনায় কিজির আহমদ বাদী হয়ে নাজিম উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি ফজলুল হক শিবলী।
তবে- নাজিম উদ্দিন জানান, তিনি ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশী গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক ছিলেন।