স্টাফ রিপোর্টার::
সিলেটে অপহরণের একদিন পর দক্ষিণ সুরমার একটি জঙ্গল থেকে বিলকিস বেগম নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিলকিসের পিতা নুরুল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৯/৪, (তাং- ১৫-০৪-২০১৯)।
পুলিশ জানায়, মামলায় বিলকিসের সহকর্মী মো. আল আমিন ও তার বন্ধু মো. শামীম আহমদকে অন্যতম আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্রমানুসারে মামলার আসামীরা হলেন, মো. শামীম আহমদ (২৪), মো. আল আমিন (২৭), সুহেল ইবনে রাজা (২৬), রুবেল ইসলাম (২২), শিপন আহমদ (২৩), আব্দুল করিম মোহন (১৯), সামসুল ইসলাম (২০), সিরাজুল ইসলাম (২১), দিলোয়ার হোসেন (২৫)।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন এমসি কলেজে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন বিলকিস বেগম। পরদিন ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ সুরমার আল আমিনের বাড়ির পাশের্^ একটি জঙ্গল থেকে বিলকিসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, দক্ষিণ সুরমার মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ কিন্ডারগার্ডেনে সহকারী শিক্ষক ছিলেন মো. আল আমিন ও বিলকিস বেগম। একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুবাদে তাদের পরিচয় হয়। ওই দিন (পহেলা বৈশাখ) আল আমিন বিলকিসকে সাথে নিয়ে এমসি কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে হঠাৎ করে কে বা কারা বিলকিস বেগমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে আল আমিনের বাড়ির পাশে জঙ্গল থেকে বিলকিসের লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ কিন্ডারগার্ডেনের সহকারী শিক্ষক মো. আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, এমসি কলেজের সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যান আল আমিন ও বিলকিস বেগম। এসময় আব্দুল খালিক তাদের দেখতে পেয়ে তার লোকজন নিয়ে বিলকিসকে অপহরণ করেন। পরে অনেক জায়গায় খোজাখুজি তাকে পাওয়া যায় নি।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালিক বলেন, আমি তাদেরকে দেখছি। কিন্তু অপহরণ করিনি। আল আমিনই তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, বিলকিস আক্তার হত্যার ঘটনায় তার পিতা নুরুল আমিন বাদী হয়ে ৯ জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।