স্টাফ রিপোর্ট::
সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামাল বাজার ধর্ষণ ও অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন কুলসুমা বেগম নামে এক যুবতী। শনিবার (২০ জুলাই) ওই যুবতী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ভোর রাতেহওয়ার আগেই ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।
ওই যুবতী কামাল বাজারের মুন্সিরগাঁও গ্রামে আব্দুল জব্বারের কন্যা।
জানা যায়, স্থানীয় মাদকাসক্ত চরিত্রহীন আতিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে কুলসুমা বেগমকে বিয়ে করার চাপ দিচ্ছে। কিন্তু কুলসুমা বেগম মাদকাসক্ত আতিকুলকে বিয়ে করতে রাজি হননি। এ ক্ষোভে শনিবার রাতে আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের নিয়ে কুলসুমা বেগমের ঘরে ঢুকে। প্রথমে কুলসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কুলসুমা রাজি না হলে নরপিশাচরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তারা চলে গেলে কুলসুমা বেগম কি করে সমাজে মুখ দেখাবেন এই চিন্তায় অবশেষে ভোর হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম কুলসুমা বেগমের ভাই আব্দুল হাফিজ জানান, পুলিশ আমার বোনের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্ডেমের জন্য ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। নানা অজুহাত দেখিয়ে থানা থেকে আমাকে বিদায় করে দেয়।
এ দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, কামাল বাজারের মুন্সিগাঁওয়ে এক যুবতী আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তবে- ধর্ষণের ঘটনার কথা স্বীকার করতে রাজি হননি ওসি খায়রুল ফজল।