• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথের মুক্তির বাজারে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত এক: আহত শতাধিক

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৪, ২০১৯
বিশ্বনাথের মুক্তির বাজারে আওয়ামীলীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত এক: আহত শতাধিক

একুশেনিউজ ডেস্ক::
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় মুক্তির বাজারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি ছুড়ে। এলোপাতাড়ী গুলিতে মুক্তির বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান নিহত হয়। তবে মিজানুর রহমানকে যুবলীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন আওয়ামীলীগ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

মিজানুর রহমান নিহতের ঘটনায় পরদিন (২৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ নেতা আরশ আলী বাদী হয়ে বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। থানায় মামলা নং- ২৮ (তাং- ২৩/১০/২০১৯)।

মামলার আসামীরা হলেন, বশির মিয়া , শাহ আমির , দুলাল মিয়া, তানিমুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম সাজু, হেলাল মিয়া, তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, হুসাইন আহমদ প্রবেল, খালেদ আহমদ, আশরাফ উদ্দিন রুবেল , আবু বক্কর, শিহাব খান, রুবেল আহমদ, নাছির উদ্দীন, রহমত আলী, নুর উদ্দিন, আহমদ হোসেন, আনছার আলী, শাকিল আহমদ । মামলার বিষয়ে বিএনপি নেতা গউস খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই মামলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, কারন আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় ও তাদের গুলিতে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান নিহত হয়েছে সে আওয়ামীলীগের কোনো কর্মী নয়। তিনি আরো বলেন বিএনপির নেতা কর্মীদের ফাসানোর জন্য আওয়ামীলীগের শীর্ষ মহলের নির্দেশে এই মামলা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানার ওসি বলেন, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।