একুশে নিউজ ডেস্ক::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ¦ শফি আহমদ চৌধুরীর জনসভায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় দক্ষিণ সুরমা থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় উক্ত হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
হামলা ও ভাংচুরে তেরা মিয়া নামে এক আওয়ামী লীগের কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৯ জন।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ২টায় কামাল বাজারে দক্ষিণ সুরমা থানা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি প্রার্থী আলহাজ¦ শফি আহমদ চৌধুরী সমর্থনে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের কিছু উশৃঙ্খল কর্মী সমাবেশে হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় উভয় পক্ষের ৯ কর্মী গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পথিমধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তেরা মিয়া নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। পরে সমাবেশে থাকা নেতাকর্মীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিএনপির সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য ও স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ জের ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমন বক্তব্য দিতে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আওয়ামী লীগ কর্মী তেরা মিয়ার নিহতের ঘটনায় তার পুত্র লুকমান আলী দক্ষিণ সুরমা থানায় পরদিন মঙ্গলবার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামাল নং- ১৯, (২৫.১২.২০১৮ইং)। মামলার আসামী হলেন, বিএনপি নেতা রুবেল আহমদ, আব্দুল্লাহ আল ওয়াকি, এনামুল হক, যুবদল নেতা আজাদ আহমদ, আনছার আলী, আব্দুল আহাদ , ছাত্রদল নেতা শাহিন, সাহেদ ও করিম সহ মোট ১৪ জনকে আসামী করা হয়। এছাড়াও শতাধিক অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।