• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

৪ সন্তাকে রেখে স্ত্রী তাড়িয়ে দিলেন স্বামী: পুলিশ সুপারের হস্থক্ষেপ কামনা

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২১, ২০২১
৪ সন্তাকে রেখে স্ত্রী তাড়িয়ে দিলেন স্বামী: পুলিশ সুপারের হস্থক্ষেপ কামনা

একুশে নিউজ ডেস্ক :: ৪ শিশু সন্তানকে রেখে যৌতুকের জন্য তাড়িয়ে দিলেন স্ত্রীকে মা বাবা হারা স্ত্রী সন্তারদের কাছে যেতে সমাজ প্রতিদের ধারে ধারে ঘুরে কোন কোল কিনারা না পেয়ে অবশেষে সিলেট পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন চার শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন নির্যাতিত সাবিয়া খাতুন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার উমনপুর গ্রামের মৃত মরম আলীর মেয়ে সাবিয়া বেগমের সাথে গোয়াইঘাট উপজেলার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে সামসুল ইসলামের সাথে ২০০৯ সালে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ কালীন সময়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ফার্নিচারসহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন সাবিয়ার পরিবার। বিবাহের পর হইতে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে দেড় লক্ষ টাকা নেয় সামসুল ইসলাম শ^শুর বাড়িতে থেকে। সাবিয়া খাতুনের দরিদ্র পিতা ও মাতা পরবর্তীতে আরও দুই লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন সামসুল ইসলাম। এই কষ্টে সাবিয়ার মা বাবা মারা যান। তারপরও থেমে থাকে নি সামসুল ও তার পরিবারের লোকজন এর মধ্যে চার সন্তান জন্ম দেন সাবিয়া খাতুন। অতিরিক্ত সন্তান গ্রহণ করায় সর্বশেষ সন্তান যাতে প্রসব না করতে পারেন তার জন্য তাকে বেধরক মারধর করলে অতিরিক্ত রক্তকরনের কারনে সেই সন্তানটি সাবিয়া খাতুনের গর্ভে মৃত্যু হয় এবং সিলেট এম এ জি ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন।

সাবিয়া খাতুনের প্রথম ছেলে মাহমুদ হাসান (১২), ২য় ছেলে তাহমিদ হাসান (৮), ৩য় মেয়ে মুবাশিরা জান্নাত (৬), সর্বকনিষ্ট তাওছিত হাসান বয়স ৩০ মাস। সাবিয়া বেগমের ছোট দুই ভাই ছাড়া দুনিয়াতে আর কেউ নেই। অভাবের তাড়নায় ছোট এক ভাই মধ্যপাচ্যের ইরাকে বসবাস করেন। সামসুল ইসলাম ২ লক্ষ টাকা না পেলে কোন অবস্থাতে স্ত্রীকে গ্রহণ করবেন না। তার মনোনীত কয়েকজন সালিশ ব্যক্তিত্য নিয়ে সালিশে নিষ্পতি করে দিবেন বলে সাবিয়া বেগমের কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায় করেন এবং তার ছোট ভাইকে ডেকে নিয়ে অল্প কিছু মালামাল দিয়ে তার কাছ থেকেও স্বাক্ষর আদায় করেন। এদিকে ৪ শিশু সন্তানকে রেখে দিনরাত পিত্রালয়ে কান্নাকাটি করেছেন সাবিয়া বেগম। তার কান্না কেউ যেন শুনে না। অবশেষে আজ (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নিজের সন্তাদের কাছে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিলে প্রতিমধ্যে পেয়ে সাবিয়া খাতুন ও তার ভাইকে বেধরক মারধর করেন। তারা আহত হয়ে সিলেট এম জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ৪জনকে অভিযুক্ত করে তিনি তার সন্তানদেরকে তার কাছে ফিরিয়ে দিতে তার নিরাপত্তায় আইনি সহযোগীতা কামনা করেন। অভিযুক্তরা হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার ইসলাম গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে সামসুল ইসলাম (৩৫), তার মা রুকিয়া বেগম (৬০), তার সহযোগী ইসলাম নগর গ্রামের মৃত হোসেন মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন দর্জি হেলাল (৪৫), মৃত রমজান মিয়ার ছেলে বাবুল আহমদ (২৪),