স্টাফ রিপোর্ট::
সাধারণত ডালিউড, বলিউড ও হলিউডের ব্লকবাষ্টার মুভিতে দেখা যায় কাউকে হত্যা করতে ২-৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে পরিকল্পনা করা হয়। মাস্টার মাইন্ডরা সব সময় ঘটনার আড়ালে থেকে পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে, ২য় গ্রুপ ভিকটিমের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আর ৩য় গ্রুপটি হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করে তাদের মিশন সাকসেস করে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটেছে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়খেওড় গ্রামে। ফিল্মি স্টাইলে ওই গ্রামের এফআইবিডিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ফরিদ উদ্দিনকে।
ফরিদ উদ্দিন নিহতের ঘটনায় র্যাব-৯ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিজাম উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ ও কাওছার আহমদ।
আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৯ এর এএসপি (মিডিয়া অফিসার) সোমেন মজুমদার প্রেস কনফারেন্সে জানান, নিহত ফরিদ উদ্দিনের সাথে পূর্ব শত্রুতা ছিল হত্যাকারীদের। গত ইউপি নির্বাচনে এ শত্রুতা আরো কঠিন রূপ ধারণ করে। এরই জের ধরে ফরিদ উদ্দিনকে হত্যা করতে পরিকল্পনা করেন নিজাম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা।
র্যাব জানায়, পরিকল্পনা মোতাবেক তারা ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। প্রথম গ্রুপ- ঘটনার মাস্টারমাইন্ড নিজাম মেম্বার ও মোস্তাক মেম্বার সিলেটে অবস্থান করে। সিলেট নগরীতে অবস্থান করে তারা পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে। ২য় গ্রুপ- ফরিদ উদ্দিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। ফরিদ কোথায় যাচ্ছেন, কি করছেন সব খবর ১ম ও ৩য় গ্রুপকে আপডেট দিতে থাকে। আর ৩য় গ্রুপ- বড়খেওর গ্রামের এফআইভিডিবি স্কুলের পাশে জঙ্গলে মুখোশ পড়ে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলে ফরিদ উদ্দিন যাওয়া মাত্র তার উপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ফরিদকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ফরিদের একটি পা কেটে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
ঘটনার পর থেকেই র্যাব-৯ এ হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উদঘাটনে অভিযান চালায়। অভিযানে জানতে পারে- ঘটনার মাস্টারমাইন্ড নিজাম মেম্বার মৌলভীবাজারের শেরপুরে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেখান থেকে ৮ ঘন্টার সাড়াশি অভিযানে শুক্রবার ভোর ৫টায় নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে কাওছার আহমদকে ও বন্দরবাজার থেকে মোস্তাক আহমদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।