
ডেস্ক রিপোর্ট::
সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নংঃ চট্ট-১৯৩৩) দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ মার্চ) সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রমজানের পবিত্রতার নামে ছাটাই-নির্যাতন বন্ধ, সকল বকেয়া মজুরি পরিশোধ, মজুরি বোর্ড গঠন করে বাঁচার মতো নিম্নতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষনা, বেকার শ্রমিকদের বেকারভাতা, সর্বাত্মক রেশনিং ব্যবস্থা চালু, সবেতনে ছুটিসহ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবিতে সমাবেশ করা করে হোটেল শ্রমিকরা।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং জেলা দপ্তর সম্পাদক বদরুদ আজাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা শাখার অন্যতম নেতা শুভ আজাদ শান্ত, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির অর্থ সম্পাদক মো. নাছির মিয়া, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক সুনু মিয়া, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. রাশেদ আহমদ, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনু মিয়া সাগর, তালতলা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুমিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আসছে রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে দ্রব্যমূল্যের চলমান উর্ধ্বমুখী বাজার আরো চড়া হওয়ার আশঙ্কা যেখানে বিদ্যমান এবং দেশের সমস্ত শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষ নিদারুণ কষ্টে দিনানিপাত করছে। সেখানে হোটেল শ্রমিকদের রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেআইনি ভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করা শুরু করেছে। এমনিতেই সারা বছর চাকরির অনিশ্চয়তা, সময়মত বেতন না পাওয়া, অতিরিক্ত কর্ম ঘণ্টা, আইন অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ না করে চাকরিচ্যুত করা, স্বাস্থ্য সম্মত কর্মপরিবেশ ও থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা না থাকা, কথায় কথায় বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র না দিয়ে শ্রম আইনগত সুবিধা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ইত্যাদি নানান রকম সমস্যা-সংকট নিয়ে হোটেল শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা চালাতে হয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আসন্ন রমজানে যারা চাকরিতে নিয়োজিত তাদেরকে আরেক দফা ছাঁটাই করা হলে এই শ্রমিকরা কোথায় যাবে? এ অবস্থায় ছাটাই-নির্যাতন বন্ধ, সকল বকেয়া মজুরি পরিশোধ, উৎসব বোনাস ও সবেতনে ছুটি প্রদানের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি নির্ধারণ, সর্বাত্মক রেশনিং ব্যবস্থা চালু, বেকার শ্রমিকদের বেকার ভাতা ইত্যাদি দাবিতে আরো জোরদার সংগঠন-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।