
একুশে নিউজ ডেস্ক : সিলেটের বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুর রব ১৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৬ইং সালে বিয়ানীবাজার থানার জলঢুপ পাড়িয়া বহর গ্রামে এক রাজকীয় জমিদার পরিবারে মোঃ মনির আলী ও মাতা আয়াতুন নেছা ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালের তিনি লেখাপাড়ার পাশাপাশি রাজধানীসহ সিলেট শহর এবং কানাইঘাট প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত হন। এর মধ্যে তিনি দৈনিক জৈন্তাবার্তা, দৈনিক যুগভেরী, দৈনিক সিলেটের বানী, দৈনিক বাংলা বাজার, দৈনিক জনতা, দৈনিক স্বাধীন বাংলা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করেন। তার বর্তমান কর্মস্থল স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বিজয়ের কন্ঠ, তিনি ২০০৬ সালে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও তথ্য অধিদপ্তর ঢাকা থেকে এ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নং-১৯৪০ প্রাপ্ত হন। সাংবাদিকতার এই সুত্রে তিনি সিলেটের কানাইঘাট থানার এরালিগুল গ্রামে অস্থায়ী হিসেবে বসবাস করে আসছেন। পেশাগত নিভূল তথ্য প্রকাশিত করায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তার ক্ষিপ্ত হয়ে বিগত ১৬ ফেব্রæয়ারী ২০১৫ইং সালে রাতের আধারে সাংবাদিক আব্দুর রবকে প্রাণে হত্যার লক্ষ্যে মাথা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাহাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল ও হাসাপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার মাথার অস্ত্রোপাচার হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহন করেন। এই ঘটনার বিষয়ে নিয়মিত মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ভারতে একাধিকবার চিকিৎসা গ্রহন করে এতে চিকিৎসা বাবত ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। একটু সুস্থ হওয়া মাত্র চলিত বছরের ১৬ জানুয়ারী পূর্বে সন্ত্রাসী সহ তাদের সংঘবদ্ধ দল দিন দুপুরে সাংবাদিক আব্দুর রবকে পূনরায় প্রানের হত্যার উদ্দ্যেশে হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাহাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি হাসপাতালে দুই দফায় চিকিৎসা গ্রহন করে বর্তমানে তিনি পঙ্গু অবস্থান অসুস্থ রয়েছেন। এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয় মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। চিকিৎসা বাবত এই পর্যন্ত তাহার ৮-১০ লক্ষ টাকা খরছ হয়েছে। তিনি এখনো অসুস্থ নিয়ামিত ডাক্তার দেখাচ্ছেন ও ওষধ সেবন করে আসছেন। তার সহায় সম্পতি, ও অর্থনীতিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে তার পরিবারের লোকজন সকলের দোয়া কামনা করেন।
সাংবাদিক আব্দুর রব এর নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বসময় ব্যবহারের নিমিত্তে একটি রিভাল বার (বৈধ অস্ত্র) লাইন্সে প্রদান করার জন্য স্থানীয় জনসাধারণ এবং অভিজ্ঞ মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।