সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা খালিক মিয়া নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ মার্চ ) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খালিক মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রাঙ্গারছড় গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত খালিক মিয়ার পিতা বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুনামগঞ্জ সদর থানার মামলা নং ৩৭, তারিখ ১১-০৩-২০২০।
মামলার আসামিরা হলেন রুস্তম আলী, সামস উদ্দিন, শাহ জামাল, মনসুর আলী, রাজন মিয়া, রইছ আলী, রমিজ মিয়া, জাবেদ আহমদ, সালমান আহমদ, আজমল আলী।
খালিক মিয়া হত্যার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খালিক মিয়া হত্যার ঘটনায় খুনিদের গ্রেফতার করতে সুনামগঞ্জ সদর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদে ফুটে উঠেছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে খালিক মিয়াকে একা পেয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। আমি সকল আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জ সদরের সুরমা নদীতে বৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসিতেছিল আমাদের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম তার সাঙ্গপাঙ্গ দের নিয়ে এসে বালু তুলতে বাধা দেয় এসময় তার প্রতিবাদ করে, খালিক মিয়া তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, খালিক মিয়া হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে