• ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৮শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মহানগর পুলিশের এসআইর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুষ্ঠ তদন্তের দাবি

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১৩, ২০২৩
মহানগর পুলিশের এসআইর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুষ্ঠ তদন্তের দাবি

সিলেট মহানগর পুলিশের এক এসআই’র বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন নাসিমা বেগম (৪০)। তিনি সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানার হানাপাড়া গ্রামের ইসকন্দর আলীর মেয়ে।

নাসিমা সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় তার ভাই বাবুল মিয়ার দায়েরকৃত মামলার (নং ৯/১০/০৪/২৩) তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুলেমান মিয়া।
একইদিন মায়ারুন নেছা বাদী হয়ে তার ভাই তৈমুছ আলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন (নং ৮ ১০/০৪/২৩)।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয় এসআই সাইফুলকে। কিন্তু এয়ারপোর্ট থানার কালাগুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল আজিজ অজ্ঞাত কারণে পক্ষপাতিত্ব করে ৯নং মামলার আসামীরা সামনে থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার না করে আমার আহত ভাই তৈমুছ আলীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। তখন তার মাথায় ১৭টি সেলাই ছিল।

আমাদের আবেদর প্রেক্ষিতে থানার অফিসার ইনচার্জ হস্তক্ষেপ করে তার ভাই তৈমুছকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি তার দায়েরকৃত মামলা ও এসআই আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান।
তবে বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নাসিমা বেগম বলেন, আমি অভিযোগ দিলেও তা প্রত্যাহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, পুলিশ আমাদের দায়েরকৃত মামলারও তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে আলাপকালে এয়ারপোর্ট থানার কালাগুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল আজিজ বলেন, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মিথ্যা। কারণ, ওইদিন খুনাখুনির মতো পরিস্থিতি ছিল। তা শান্ত করতেই এক পক্ষের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অপরপক্ষকেও গ্রেফতার করা হতো। কিন্তু তাৎক্ষনিক তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আবার বাবুল মিয়ার দায়েরকৃত মামলার ৩ আসামি ফয়ছল নাঈম ও কাইয়ুমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় আমি বা পুলিশ নিরপেক্ষ এবং যা করা হয়েছে জনগনের নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষার জন্যই করা হয়েছে।
এদিকে এসএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (উওর) আজবাহার আলী শেখ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।