জকিগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন একজন তরুণী। সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। তাছাড়া সিলেট বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে নির্দেশে উক্ত তরুণী মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালত ও আমলী আদালত নং-৩ সিলেটে মামলা দায়ের করলে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আনের ৮(১)(২)(৩)(৭) ধারা মোতাবেক এফআইআর হিসেবে গ্রহনের জন্য শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু বাদি পক্ষের অভিযোগ এখনো যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার সুরানন্দপুর গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে কালিগঞ্জ বাজারের ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসায়ী আব্দুল হক আব্দুল্লাহ তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুল্লাহ’র মালিকানাধীন লাকী ফার্মেসীতে নিয়ে তাকে ২০২২ সালের ১৬ জুলাই দুপুরের ধর্ষণ করে। এমনকি তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নানা প্ররোচনা ও ছলনার আশ্রয় নিয়ে একাধিকবার তরুনীকে আবদুল্লাহ ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ও স্থিরচিত্র তার মোবাইলে ধারণ করে রাখে। তরুণী আব্দুল্লাহর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে বিয়ে করার জন্য বলেন। এতে আব্দুল্লাহ রাজি না উল্টো তরুনীকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এবং ফেইসবুক আইডি খুলে আইডিতে বিভিন্ন ধরনের অশালীন পোষ্ট করে।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার শাহপরান (রহ.) থানার এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, মামলার বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে এবং আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষিতা তরুণী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠালে সেখানে ধর্ষণের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। যার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে জকিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। জকিগঞ্জ থানা পুলিশ আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন। একই বছরের ২৫ অক্টোবর জামিন পান তিনি। জামিন পেয়ে মামলা তুলে নিতে তরুণী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে হত্যাসহ নানভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি চাপ দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল্লাহ।