• ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বিয়ানীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর মিছবা উদ্দিনের মৃত্যু

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ৬, ২০২৩
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বিয়ানীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর মিছবা উদ্দিনের মৃত্যু

গ্রেফতারের পর থানা হাজতে মিছবা উদ্দিন (ফাইল ছবি)

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পুলিশ হেফাজতে বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিছবা উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কারাগারের ভিতর অসুস্ত হয়ে পড়লে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় কারাগার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কাউন্সিলর মিছবা উদ্দিন বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসাড়ী পাড়া গ্রামের মৃত মশরফ আলীর পুত্র। একটি হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী হিসেবে ২০২২ সালের ২২জুন কাউন্সিলর মিছবা উদ্দিন কে থানায় ডেকে নিয়ে ঐ মামলায় গ্রেফতার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে ঐ হত্যা মামলার বিচার কাজ চলছে।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসাড়ী পাড়া গ্রামে আলম হোসেন নামক এক শ্রমিক কে ২০২২ সালের ২০ জুন রাতের আধাঁরে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা হত্যা করে লাশ তাহার কলোনীর পাশে ফেলে যায়। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত আলম হোসেনের মাতা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উলে­খ ও অজ্ঞাত আরো আসামী করে পরদিন ২১ জুন বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিএনপি নেতা কাউন্সিলর মিছবা উদ্দিন কে ৫নং আসামী করা হয়। ২০২২ সালের ২২ জুন উক্ত হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ কাউন্সিলর মিছবা উদ্দিন কে বিয়ানীবাজার থানায় ডেকে নেয়। তিনি থানায় যাওয়ার পর পুলিশ তাকে উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখায়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতে প্রেরণ করা হয়। তৎসময় থেকে তিনি উক্ত মামলার অভিযুক্ত আসামী হিসেবে জেল হাজতে রয়েছেন। বর্তমানে উক্ত মামলার বিচার কাজ চলছে। ঘটনার দিন ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছবা উদ্দিন হার্টস্টোক করে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় পুলিশ তাকে কারাগার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিছবা উদ্দিন কে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

নিহতের পরিবার ও বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের দাবী রাজনৈতিক বিরুধের জের ধরে ক্ষমাতসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার ইন্ধনে হয়রানি করার জন্য আলম হত্যা মামলায় তাকে মিথ্যা আসামী করা হয়। অতপর কারাগারের ভিতরে পুলিশের শারীরিক ও মানসিক টর্চারিংয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। তাদের দাবী ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের ইন্ধন ও ষড়যন্ত্রে কারাগারের ভিতরে পরিকল্পিত ভাবে পুলিশ তাকে হত্যা করেছে।