• ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষককে প্রতিকী ফাঁসি দিল ত্রিরত্ন অর্গানাইজেশন

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২০
ধর্ষককে প্রতিকী ফাঁসি দিল ত্রিরত্ন অর্গানাইজেশন

একুশে নিউজ:: সারাদেশে বেড়েছে ধর্ষণ-সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা। দিন দিন বাড়ছে বর্বরোচিত নারী নির্যাতন। কিন্তু এসবের বিচার হচ্ছে না। আইনের ফাঁকফোকরে পার পেয়ে যাচ্ছে আসামিরা। এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ত্রিরত্ন অর্গানাইজেশন ধর্ষককে প্রতিকীরূপে ফাঁসি দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ত্রিরত্ন অর্গানাইজেশনের আয়োজনে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশে চলমান অবস্থা ও আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থা নিয়ে প্রতিকী প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিকী প্রতিবাদে দেশের বর্তমান অবস্থাকে ফুটিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমে নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হয় পরে ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া হয়। এ সময় প্রতিকী ধর্ষকের গলায় রশি বেধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে চৌহাট্টা পয়েন্টের চত্ত্বর ঘুরিয়ে আবার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। তাদের দাবি ধর্ষককে দ্রুত বিচার দিলে তবেই মুক্তি পাবে দেশ।

এসময় ত্রিহত্নের কো-চীফ যুবায়ের সাইফুল­াহ বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব ধর্ষণের বিচার করা। আমরা বিচার চাইবো কেন? ধর্ষকরা মানুষ নয় বরং হিংস্র জানোয়ার, জানোয়ারেরা কখনোই মানবতা বুঝেনা আর মানববন্ধন মানুষের অপকর্মের প্রতিবাদে হয়, জানোয়ায়ের নয়। তাই আমরা প্রচলিত ধারায় মানববন্ধন না করে বরং বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা এবং আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তুলে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছি।

তিনি বলেন, প্রতিবাদে রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে রাষ্ট্রের চোখ কান মুখ বন্ধ, হাত বাঁধা। আর ধর্ষক রা “শৌর্যের প্রদর্শন” তথা ক্ষমতা এবং দাপটের প্রদর্শণ চালিয়ে অবলীলায় ধর্ষন করে যাচ্ছে রাষ্ট্রের সামনেই।

যুবায়ের আরো বলেন, প্রত্যাশিত অবস্থায় জনগন এবং ধর্ষিতা এখন একপক্ষ হয়ে শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, তাই রাষ্ট্রের কাছে আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থা হলো যে ধর্ষিতার সাথে একপক্ষ হয়ে কান মুখ বন্ধ রেখে ধর্ষক যেই হোক তার একমাত্র বিচার “জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড” বাস্তবায়ন করা। কারণ যদি ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাসি হয়, তাহলে আইনের ফোকর দিয়ে ক্ষমতার দাপটে ধর্ষকরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে যায়, কান বন্ধ থাকলে রাষ্ট্র কারো ক্ষমতার প্রভাবে বলা বুলি শুনবেনা। আমাদের একমাত্র দাবী, ধর্ষকের শাস্তি হলো জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড। আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থা অনুযায়ী রাষ্ট্র এবং ধর্ষিতা একপক্ষ হয়ে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে এমনটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

প্রতিকী প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন ত্রিরত্নের ফাউন্ডার এন্ড চীফ ফাহাদ আহমেদ, কো-চীফ যুবায়ের সাইফুল­াহ, কন্ট্রোলার রুপসা তুফা, মিফতা রাহমান সাকিব, আব্দুল­াহ সাইফুল­াহ, হিরনময় চৌধুরী, ইমন আহমেদ, সুমাইয়া সাদমিন, নাবিলা আক্তার প্রমুখ।