ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে হলে সবার আগে ঈমানকে মজবুত করতে হবে। মিম্বার-মিহরাবের পাশাপাশি দ্বীন কায়েমেও ওলামায়ে কেরামকে নেতৃত্ব দিতে হবে। ইসলামী জ্ঞানের নিয়ামতে ভূষিত হওয়ার পরও যারা কুফুরি, ইলহাদ ও নাস্তিকতার পক্ষে অবস্থান নেন, তারা হতভাগা। নবীজীর সুন্নাহ, আদর্শ, সাহাবায়ে কেরামের রা:-এর বৈশিষ্ট্য এবং ইসলামী আন্দোলনের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞানে সমৃদ্ধ আলেমগণ ইসলামের বিরুদ্ধে আঘাত প্রতিরোধে সক্ষম।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে সিলেট আলীয়া মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে ৩ দিন ব্যাপি ওয়াজ মাহফিলে ২য় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শায়খে চরমোনাই আরও বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ, পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি ও ছোটো-খাটো মতবিরোধ নিয়ে মতানৈক্য না করে ইসলামের সৌন্দর্য প্রদর্শনে ঐক্যের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে দ্বীনের কাজে বাধা আসলে আলেমগণকে মূল ভূমিকা রাখতে হয়। আলেমরা এগিয়ে আসলে জনগণ তাদের সহযোদ্ধা হিসেবে মাঠে-ময়দানে মজবুত ভূমিকা রাখে। এভাবেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করেন হযরত মাওলানা ওমর ফারুক সন্ধীপী, খলীফা আল্লামা আহমদ শফী রহ., হযরত মাওলানা আব্দুল মজিদ খলিফা চরমোনাই, হযরত মাওলানা মোস্তফা কামাল শায়খুল জাউয়া বাজার মাদরাসা, হযরত মাওলানা রেজাউল করিম টাঙ্গাইল, হযরত মাওলানা মুফতি ফখরুদ্দিন আহম্মদ শিক্ষক জামিয়া কারিমিয়া মাদরাসা, হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন সুনামগঞ্জ।