• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বড়লখো চান্দগ্রামে ছাত্রদল সভাপতরি উপর আওয়ামী লীগরে হামলা

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০১৯

বড়লেখা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলাধীন বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নস্থ চান্দগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের স্থানীয় ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি তানভীর আহমদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৫ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫টার দিকে চান্দগ্রাম বাজার সংলগ্ন স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় ৭/৮ জনের একটি দল তার উপর এই হামলা চালিয়েছে। ভিকটিম তানভীর আহমদ চান্দগ্রামের মোঃ সাহাব উদ্দিন এর পুত্র। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার পৌরশহরস্থ আলফা পলি ক্লিনিকে প্রেরণ করেছেন।

জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার -১ বড়লেখা আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন মিঠুর পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেন নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর আহমদ। সে সময় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাহাব উদ্দিনের পক্ষে কাজ করা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন গংদের সাথে বিরুধ দেখা দেয় তানভীর আহমদ এর। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভের পর রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতা ও নির্বাচন কালিন বিরুধের জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন তানভীর আহমদকে শায়েস্তা করবেন বলে একাধিকবার হুমকী ধামকী দিয়েছেন। ঘটনার দিন বিকালে নিজ বাড়ি থেকে চান্দগ্রাম বাজারে আসার পথে বেলা ৫টার দিকে বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে আসার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্যাডার নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি দল তার পথরোধ করে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা দেশীয় অস্ত্র লাঠি, লোহার রড দিয়ে তানভীর আহমদ এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে ঘিরে ফেলে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এক পর্যায় প্রাণ বাঁচাতে সে চিৎকার দিলে পথচারীরা ছুটে আসেন। লোকজন আসতে দেখে হামলাকারীরা তাকে লাথি মেরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে পথচারীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার পৌরশহরস্থ আলফা পলি ক্লিনিকে প্রেরণ করেন। হামলায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে হামলায় আহত তানভীর আহমদ মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী বিরুধের জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল ইসলামের নির্দেশে ও আওয়ামী লীগ ক্যাডার নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে আমাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় লোকজন ছুটে আসায় আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আতংকের মধ্যে রয়েছি