স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে সিলেটের চার জেলায় দুজন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হয়ে আসছেন। এবারই প্রথম একজনকে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদে যখন ৩০টি সংরক্ষিত আসন ছিল তখন সিলেট-সুনামগঞ্জে একজন ও মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জে একজন সংরক্ষিত সংসদ-সদস্য ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০টি হলেও সিলেট বিভাগের আসন বাড়েনি। জাতীয় সংসদের ৬টি আসনের বিপরীতে একটি সংরক্ষিত আসন ধরলে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে ৩টি সংরক্ষিত সংসদ-সদস্য হওয়ার কথা। বিভিন্ন মহলে সিলেটের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি উঠে। তখনই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সিলেটবাসীকে হতাশ করে একটি আসন কমিয়ে দেন, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, সিলেটবাসী তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জাতীয় সংসদে সিলেটের জনপ্রতিনিধি কমানের দিক দিয়ে সিলেটবাসী এমন বৈষম্যের শিকার এবারই প্রথম হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদে ক্রমন্বয়ে কমছে সিলেটের জনপ্রতিনিধির সংখ্যা। এর আগে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন ২১ জন। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন ২০। তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হন ১৯ জন। প্রথম সংসদন নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে কেটে নেওয়া সিলেটের আসনগুলো ফিরে পেতে বিভিন্ন সময় দাবি জানালেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। উল্টো এবার সংরক্ষিত আসনের একটি আসন বাদ দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক সংরক্ষিত আসনের সংসদ-সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হলেও সিলেটের চার জেলায় মাত্র একজনকে দেওয়া খুবই দুঃখজনক বলে আমি মনেকরি। জাতীয় সংসদে এ অঞ্চলে ভবিষ্যতে সদস্য অনুপাতে (প্রতি ছয়জনে একজন) ও সিলেটে তিনজন সংরক্ষিত আসনে সংসদ-সদস্য মনোনয়ন প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।
বার্তাপ্রেরক
বীর মুক্তিযোদ্ধ গোপাল রঞ্জন দেব
সভাপতি
বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (ন্যাপ)
রেজি নং-০০৯
সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি।
মাহমুদালয় উপজেলা রোড, বাগবাড়ী, ছাতক-৩০৮০।
মোবা: ০১৭৪৩-৯০০৫৯৯
২৯.০২.২০২৪