সারওয়ার জাহান সুমন:: ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে এক তরফা করতে আওয়ামী লীগ সব ধরণের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের একমাত্র বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে উক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাসদ, ইসলামী দলগুলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচন বাতিল করে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার থাকলেও তলে তলে নির্বাচনের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
নির্বাচনের বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গস্খহনের পরই সিলেটে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের স্টিম রোলার নেমে আসে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশী, গ্রেপ্তার অভিযান প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে সহায়তা করছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা।
জানা যায়, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুহেল ইবনে রাজার বাড়িতে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান করে। অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। কিন্তু সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়া সামাদ গোপনে সব তথ্য সংগ্রহ করে। এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সুহেলের বাড়িতে হামলা করে। সুহেল ইবনে রাজা গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগেরদিন শুক্রবার রাতে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ নগরীর আখালিয়ায় তার বাড়িতে হানা দেয়। রাত ৩ টার দিকে ৩০-৪০ জন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা সকলেই ছাত্রলীগের ক্যাডার। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম তুষার ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বাড়িতে অ্যাটাক করে।
এদিকে ওই রাতে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনারের বাড়িতে ছাত্রলীগ ক্যাডার ডায়মন্ডের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। কিন্তু দিনারকে না পেয়ে পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজনের সাথে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা খারাপ আচরণ করে।
নির্বাচনকে এক তরফা করতে আওয়ামী লীগের নির্দেশেই ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। জনগণ তাদের চায় না। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ জানে- সুষ্ঠ নির্বাচন দিলে তাদের পরাজয় ঘটবে। তাই নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে গ্রেপ্তার করছে। যাদেরকে বাড়িতে পাচ্ছে না, তাদের মা-বাবাকে নানা ধরণের হুমকি দমকি দিচ্ছে।