বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদল কর্মী মোঃ গুলজার হোসেন এর উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রদল। ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় বিয়ানীবাজার পৌরশহরে এই প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় বিয়ানীবাজার পৌরশহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন উপজেলা ছাত্রদল কর্মী মোঃ গুলজার হোসেন। উপজেলা পয়েন্ট মোড়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা ফয়েজে আহমদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ৫/৬ জনের একটি সশস্ত্র দল পথরোধ করে তার উপর হামলা চালায়। তারা মোঃ গুলজার হোসেন কে বেদড়ক মারধর করে রক্তাক্ত আহত করে। এসময় তার চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। হামলার শিকার ছাত্রদল কর্মী মোঃ গুলজার হোসেন উপজেলার কসবা গ্রামের মোঃ মানিক উদ্দিন এর পুত্র। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ছাত্রদল কর্মীর উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় বিয়ানীবাজার ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পৌর শহরে এক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে গেইট থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উত্তর বাজারে এসে পথসভায় মিলিত হয়। পথসভায় বক্তব্য প্রদানকালে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়েজ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের এই সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রদল কর্মী মোঃ গুলজার হোসেন এর উপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নৃশংস্য ভাবে এই হামলা চালায়। ভাগ্য সহায় থাকায় লোকজন ছুটে আসায় সে প্রাণে রক্ষা পায়। এখনো সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসনের প্রতি আহবান অভিলম্বে এই সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, এই ঘটনার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।