বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ভয়াবহ ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূয়া ব্যাংক সলভেন্সি দিয়ে জলমহাল টেন্ডারে অংশগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে এক মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে।
গতকাল বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো মাসুদ রানা বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন সাচনা বাজার ইউনিয়নের “রামনগর ও শরিফপুর মিতালী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সম্প্রতি সাচনা বাজার ইউনিয়নের ২০ একরের নিচে বনুয়া বিল ১৪৩১ বাংলা সন থেকে ১৪৩৩ সন পর্যন্ত ইজারা দেয়ার লক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ইং হইতে ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত আগ্রহী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে অনলাইনে আবেদনের আহ্বান করা হয়।
এতে বিজ্ঞপ্তির পর পরই নিয়ম বহির্ভূত জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়ার নামে সলভেন্সি তৈরি করে পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে রামনগর মিলন মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
জানাযায়, অনলাইনে দাখিলকৃত ব্যাংক এশিয়ার উক্ত সঞ্চয়ী হিসাব (১০৮৩৪৯০২১২৪২২) নম্বরে সাচনা বাজারের রামনগর এজেন্ট শাখা থেকে প্রদানকৃত সলভেন্সিটি গত ১৫ ফেব্রুয়ারীতে ইস্যু করা। অথচ বাস্তবে ওই এজেন্ট শাখাতে “রামনগর মিলন মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে কোনো সমিতির একাউন্টই নেই। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সমিতি তাদের জালিয়াতির কথা টের পেয়ে যাবে বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারী উক্ত সমিতির নামে একটি “সঞ্চয়ী একাউন্ট” খোলার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য চালু করতে হয় “চলতি একাউন্ট”। যার ফলে সমিতির পক্ষে আবেদন করা সঞ্চয়ী একাউন্টটি ১৮ ফেব্রয়ারী বাতিল করে দেয় ব্যাংক এশিয়া কতৃপক্ষ। অথচ টেন্ডার অংশগ্রহণে সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে অবৈধ সলভেন্সী জমা দেয়া অনলাইনে। যার সকল প্রমানাদির কাগজপত্র সংরক্ষণ আছে এই প্রতিবেদকের কাছে।
তাছাড়া এজেন্ট শাখা থেকে সলভেন্সি দেওয়ার বিধান আছে কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রামনগর মিলন মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আঃ বাসিতের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রামনগর ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট শাখা থেকে আমাকে একটি ব্যাংক সলভেন্সি দিয়েছে। যা দিয়ে আমাদের সমিতি বনুয়া জলমহালের টেডারে অংশগ্রহণ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত করার জন্য দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্টের পরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।