
২০২২ সালের ইউরো ফাইনালের স্মৃতি যেন আবার ফিরে এলো। ক্লোয়ি কেলি তখন যেমন ছিলেন নায়িকা, এবারও ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তোলার মুহূর্তে তিনিই জয়ের নায়িকা। অতিরিক্ত সময়ের ১২০তম মিনিটে নিজের নেওয়া পেনাল্টির রিবাউন্ডে গোল করে ইতিহাস গড়লেন তিনি। ইউরো ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচে ইতালিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল ইংল্যান্ড।
শেষ মুহূর্তে আ্যগি বিবার-জোনসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। কেলির শট রুখে দেন ইতালি গোলরক্ষক লরা জুলিয়ানি, কিন্তু রিবাউন্ডে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ক্লোয়ি কেলি।
১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান বদলি হিসেবে নামা কিশোরী স্ট্রাইকার মিশেল আগিয়েমাং। ৯৬তম মিনিটে তার গোলে সমতায় ফেরে লায়নেসরা।
এর আগেও সুইডেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে সমতা ফেরানো গোল করেছিলেন এই কিশোরী।
বারবার গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া ইতালি ২৮ বছর পর ইউরো সেমিফাইনালে উঠে চমকে দিয়েছিল। ৩৩ মিনিটে বারবারা বোনানসিয়ার গোল তাদের স্বপ্নে রঙ ছড়ায়। সোফিয়া ক্যান্টোরের দারুণ ক্রসে ইংলিশ ডিফেন্ডার লুসি ব্রোঞ্জের ভুলে বল বোনানসিয়ার কাছে চলে যায়, যেখান থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল করেন তিনি।
ম্যাচজুড়ে বলের দখল রাখে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধেই লরেন জেমসের দুটি প্রচেষ্টা রুখে দেন ইতালির গোলরক্ষক। তবে বিরতির পর তাকে চোটের কারণে তুলে নিতে হয়।
৮১ মিনিটে লুসি ব্রোঞ্জের হেড ক্লিয়ার করে দেয় ইতালি। ১১৭ মিনিটে আগিয়েমাংয়ের শট পোস্টে লেগে ফেরে।
আর ঠিক সেই নাটকীয়তার মধ্যেই আসে কেলির সেই ঐতিহাসিক গোল।
৮৬তম মিনিটে ইংল্যান্ড গোলরক্ষক হান্নাহ হ্যাম্পটন দারুণ ডাবল সেভ করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে রাখেন। একটি মিকেলা ক্যাম্বিয়াগি ও অপরটি এমা সেভেরিনির শট।
ম্যাচের ৯৬তম মিনিটেও যখন বিদায় ঘণ্টা শোনার অপেক্ষায় ইংল্যান্ড, ঠিক তখনই তখনই আগিয়েমাং গোল করে দলকে এনে দেন সমতা। এরপর অতিরিক্ত সময়ের ১১৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ক্লোই কেলির শট ঠেকান ইতালির গোলরক্ষক লরা জুলিয়ানি, তবে ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে ইংলিশ শিবিরে উল্লাসে মাতান কেলি।
এই জয়ে ইংল্যান্ড টানা তৃতীয়বার কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল। আগামী ২৭ জুলাই ফাইনালে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে জার্মানি-স্পেন সেমিফাইনালের বিজয়ী দলের বিপক্ষে।