জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বুড়ি ডাকুয়া জলমহাল’ সম্পর্কে আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউএনও বরাবর দরখাস্ত করেছেন প্রথম ইজরাপ্রাপ্ত শুকদেবপুর বিজয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যগন।
গতকাল বিকেলে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর উচ্চ আদালতের আদেশের কপি সংযুক্ত করে একটি লিখিত দরখাস্ত দায়ের করেন সমিতির দায়িত্বে থাকা আলী মর্তুজা।
দরখাস্ত সুত্রে জানাযায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জামালগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে ১৪৩১-১৪৩৩ বাংলা সন পর্যন্ত দরপত্র আহ্বান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি (ইউএনও)।
এতে একাধিক মৎস্যজীবি সমিতি দরপত্রে অংশগ্রহণ করলেও যাচাই-বাছাই শেষে ৩ বছরের জন্য জলমহালটি ইজারা প্রাপ্ত হন শুকদেবপুর বিজয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। পরে ওই সমিতির পক্ষ থেকে সরকারি খাজনা ও কর পরিশোধ করলে সরকারের সাথে মৎস্যজীবি সমিতির চুক্তিনামা সম্পাদন করার পাশাপাশি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কর্তৃক জলমহালটি দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
মৎস্যজীবিরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলটি দখল পাওয়ার পরপরই জলমহালে বাঁশ ও কাটা দিয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
কিছুদিন পরই প্রতিপক্ষ সমিতি (রাধানগর শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড) জলমহালটি ইজারা না পেয়ে শুকদেবপুর বিজয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে বিভিন্নভাবে হয়রানির পাশাপাশি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর পূণবিবেচনার জন্য আপিল করলে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উভয়ই পক্ষের শুনানী শেষে প্রতিপক্ষ ‘রাধানগর শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষে রায় দেন। এতে করে ইউএনও থেকে প্রথম ইজারাপ্রাপ্ত শুকদেবপুর বিজয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ে যায় বলে জানান। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের রায়ের বিরুদ্ধে শুকদেবপুর বিজয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি উচ্চ আদালতে আপিল করলে বিজ্ঞ আদালত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( রাজস্ব) আদেশ স্থগিত করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর জানান, মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা কপি হাতে পেয়েছি। কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।