
নিজস্ব সংবাদদাতা: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পনাউল্লাহ বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী কামরুজ্জামান। গত মঙ্গলবার (০৭ জুন ) রাতে পনাউল্লাহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুজ্জামান বিশ্বনাথ উপজেলার মীরগাঁও গ্রামের আফতাব মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় কামরুজ্জামান বিশ্বনাথ বাজার হতে বাড়ি ফিরার পথে গাড়ি থেকে নেমে পনাউল্লাহ বাজারে শাহজালাল মার্কেটের সামনে আসা মাত্রই মোটরসাইকেল করে হেলমেট পরিহিত ৭-৮ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কামরুজ্জামানের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত কামরুজ্জামানকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করে। কামরুজ্জামান হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কামরুজ্জামান খুনের পরদিন বুধবার (০৮ জুন) নিহতের পিতা আফতাব মিয়া বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ৮ (আট) জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী সবাই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। মামলার আসামী হলেন, তানিমুল ইসলাম, আব্দুর রহমান খালেদ, জাকির হোসেন ইমন, মোঃ জহির মিয়া, সায়েদ খান, ফেরদৌস আহমদ, মুহিবুর রহমান বাদশা, কয়েছ আহমদ সবুজ।
খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিহত কামরুজ্জামানের খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, অতিসত্বর আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ কর্মী কামরুজ্জামানকে পনাউল্লাহ বাজারে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আওয়ামিলীগ নেতাদের দাবী হামলাকারী সন্ত্রাসীরা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। অন্যদিকে বিএনপির নেতাদের দাবী কামরুজ্জামানকে তাদের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে আওয়ামিলীগ কর্মীরাই খুন করেছে, তারা ষড়যন্ত্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দুশ চাপাচ্ছে।