• ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গণহত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করুন

admin
প্রকাশিত জুলাই ৩১, ২০২৪
গণহত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করুন

একুশে নিউজ ডেস্ক : বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার ও সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ জুলাই বুধবার বিকাল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমদ এর সভাপতিত্বে ও বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা আহ্বায়ক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক সিরাজ আহমদ, সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট মহীতোষ দেব, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সঞ্জয় কান্ত দাশ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাসদ সিলেট মহানগর শাখার সহ-সভাপতি ফেরদৌস আরবি, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান,বাসদ জেলা শাখার সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী,উদীচী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, বাংলাদেশের শ্রমিক জোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দেব,চা শ্রমিক ফেডারেশনের অজিত রায়, প্রমূখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নিহতদের স্মরণে কালো পতাকা মিছিল বের হয় ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে অব্যাহতভাবে গ্রেপ্তার-গণগ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন নির্যাতনের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।গণগ্রেপ্তার মানবাধিকারের চরম লংঘন। গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পায়ের নীচে থেকে মাটি সরে যাওয়ায় গ্রেপ্তার-নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ রক্ষা করতে চাইছে, যেমনি করে একজন ডুবন্ত মানুষ খড়-কুটাঁকেও আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। বক্তারা বলেন, দমন-নির্যাতন করে অতীতে কোন সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারেনি বর্তমান সরকারেরও শেষ রক্ষা হবে না। গণগ্রেপ্তারে সরকারের প্রতি গণঅসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে এবং সরকার সম্পূর্ণ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বক্তারা অবিলম্বে দমন-পীড়ন-নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার-পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্য বন্ধের জোর দাবি জানানো হয়।

বক্তারা সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকী দিয়ে এমনকি ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ ৬ সমন্বয়ককে তারা না চাইতেও কথিত নিরাপত্তা হেফাজতের নামে আটক রেখে, নির্যাতন ও ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পাঠ করতে বাধ্য করছে যা সংবিধানে বর্ণিত অনুচ্ছেদ ৩৩ ও অনুচ্ছেদ ৩৫ (৪) এর সম্পূর্ণ লংঘন। ডিবি হেফাজত থেকে ৬সমন্বয়কের মুক্তি দাবি করেন।

বক্তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পুলিশী দমন-পীড়ন বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনী-বিজিবিকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-আবাসিক হল খুলে দেয়া, নিহতদের ক্ষতিপূরণ, হত্যাযজ্ঞের দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও হত্যায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দাবি করা হয়। বক্তারা,প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে দাবি আদায় না হওয়া এবং সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ছাত্রসহ সর্বস্তরের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ও সিলেট বাসীর আহ্বান জানান।