• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ড. ইউনুস কি পারবেন অনন্য এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে?

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
ড. ইউনুস কি পারবেন অনন্য এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে?

একুশে নিউজ ডেস্ক : যে কোন রাষ্ট্র অঞ্চলে হাজার হাজার, লক্ষ কোটি সাধারণ মানুষের ভিতরে একজন অসাধারণ মানুষ থাকে। যিনি অনেক গুণে গুণান্বিত সৎ এবং বুদ্ধিদৃপ্ত প্রখর জ্ঞানের অধিকারী। লৌকিকতায় কথায় নয়, যে সত্যি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে স্বপ্ন দেখাতে পারে। যে মানুষকে হাসাতে পারে কাঁদাতে পারে, যে মানুষের মনের ভাষা বুঝতে পারে। যার আদর্শিক নেতৃত্বে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় মানুষ আকৃষ্ট হয় তার প্রতি নিখাঁদ ভালোবাসায়। যার সৎ নির্ভিক নেতৃত্বে সবাই ভালো নিরাপদ থাকতে পারে, সেই হল সাধারণের ভিতর একজন অসাধারণ মানুষ, কিংবা নির্ভরতার প্রতিক জনগণ বা রাষ্ট্রের নেতা।
আর যদি হাজার হাজার লক্ষ কোটি সাধারণ জনতার ভিতর তেমন দৃঢ়চেতা আদর্শিক সৎ বিচক্ষণ নেতা না থাকে, তাহলে সেই কাফেলায় যারাই থাকবে তাদের ধ্বংস অনিবার্য।

কিছু বুঝলেন? মহান পার্লামেন্টের ৩৫০জন এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী একযোগে নিখোঁজ। ভয়ে পালিয়ে যায় জাতীয় মসজিদের খতিব! পুলিশের হাতে পিস্তল বন্দুক থাকার পরেও সারা দেশের পুলিশ ভয়ে লুকিয়ে থাকে! এর কারণ হল বিচার বর্হিভুত হত্যাকান্ড সহ প্রবল ক্ষমতার অপব্যবহারে দূর্নীতিতে একটা পুরো জাতিকে ডুবিয়ে দেওয়া।এবং বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার পুতুল সরকারে পরিনত করার খেসারত। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং ইন্ডিয়ার প্রতি ছিল ১৮কোটি মানুষের চরম ঘৃনা। শেখ হাসিনার পতন থেকে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারবো?

বাংলাদেশকে নিয়ে ইন্ডিয়া সহ বহিঃশত্রুরা কিন্তু থেমে নেই! জাতিকে বিভাজন করার সুগভীর ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। ছাত্র জনতার গণ বিপ্লবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকের দুসর ব্যতিত বাংলাদেশের সমস্ত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হতে বিলম্ব করেন, তাহলে জাতির কপালে আরো অনেক কলঙ্ক লেপন হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সব চাইতে সর্ব বৃহৎ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র পরিলক্ষিত। যে বিএনপি বিরামহীন ভাবে প্রায় দেড় যুগ থেকে অসীম ত্যাগের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ভোটাধিকার সহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অনেক ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপিকে দূর্বল করা মানে দেশের গণতন্ত্র অগ্রগতিকে দুর্বল করা। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর আমীর, হেফাজতে ইসলামীর মামুনুল হক, ভিপি নুর সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে বিএনপিকে নিয়ে বিষোদগার কুৎসা রটনা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশবাসী নিশ্চয়ই এতো বোকা নয়? স্বার্থের কাছে অনেকেই নৈতিকতা বিষর্জন দিয়ে নিকট ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার উচ্চ বিলাসী আকাঙ্খায় যারা বিভোর তারাই বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করে জোট গঠনের প্রয়াস চালাচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্ষমতার লোভে ইন্ডিয়ার কুটচালে অনেক রাজনৈতিক দলের কিছু নেতারা চরিত্র হারানোর পথে অগ্রসর হচ্ছেন।

বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সর্বোচ্ছ সতর্ক থাকতে হবে, হিরু আলমের উপর হামলার মতো অনেক নাটক বিএনপির উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। একটা যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশ এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। ১৮কোটি মানুষ একটি অনন্য নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।

সম্মিলিত প্রয়াসে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা ঘোষণায় মুহূর্তে বদলে যেতে পারে বাংলাদেশ। যেমন করে অসীম দেশপ্রেমে সাহসের সাথে নিজে শতভাগ দূর্নীতি মুক্ত থেকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

যদি শপথ নিয়ে আঠারো কোটি মানুষ অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় “আমরা থাকবো শতভাগ দূর্নীতি মুক্ত”। এই জাতিকে দমিয়ে রাখার সাধ্য পৃথিবীর কোন অপশক্তির নেই, জাতি সুখ শান্তি সম্মানে আত্মগৌরবে হবে সমৃদ্ধ। ফ্যাসিবাদের কবল থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে যারা আত্মাত্যাগ বিলিয়ে দিয়ে হতাহত হয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ আমাদের উপহার দিয়েছে শুধু মাত্র তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাদের দেশপ্রেমের আকাঙ্খাকে ধারন করুন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এর চাইতে গভীর মহৎ আকাঙ্খা মুল্যবান অর্জন আর কিছু হতে পারে না।

মোঃ নিজাম উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান
উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদ, ছাতক সুনামগঞ্জ।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি।