নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেশে উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের দুসররা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ইউনুস সরকারকে বিপাকে ফেলতে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঠে নামলেও বারবার ব্যর্থ হচেছ ষড়যন্ত্রকারীরা। পেছনে থেকে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনও নানাভাবে বিতর্কিত কর্মকান্ড করছে। দ্রত সময়ের নির্বাচনের দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচীও গ্রহণ করেছে।
সিলেট শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে গত ২০ আগষ্ট একদল লোক নগরীর বন্দরবাজার হাসান মার্কেটের সামনে দেশীয় অস্ত্র, বন্দুক, রিভলবার নিয়ে সাধারণ মানুষের উপর হামলা করে। হামলায় ফুটপাতে থাকা ৩ জন ক্ষুদ্রব্যবসায়ী আহত হন। তারা হলেন, ফল ব্যবসায়ী সাহেদ মিয়া, রুপন আহমদ, কাপড় ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন। তাদেরকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও হামলাকারীরা কয়েকটি প্রাইভেট কার, সিএনজি ও যানবাহন ভাংচুর করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ১৪/৩৭৫।
মামলার আসামীরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাসিত রুমান, আওয়ামী লীগ নেতা শিহাব শাহিন, সাংবাদিক সারওয়ার জাহান সুমন, ছাত্রলীগ নেত্রী তামান্না বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান, লেখক ও কলামিস্ট মো. ইমরান আহমদ মিছবাহ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আপ্তাব হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি পীযূষ কান্তি দে, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের পিএস সাজলু লস্কর, কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, সহ অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০ জন।
মামলার অন্যতম আসামী সাংবাদিক সারওয়ার জাহান সুমন, লেখক ও কলামিস্ট মো. ইমরান আহমদ মিছবাহ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। জানা যায়, উচ্চ শিক্ষাঅর্জনে তারা গত দুই বছর আগে যুক্তরাজ্যে গমণ করেন। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেত্রী তামান্না বেগম ঘটনার দিন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তবুও কেন তাদের আসামীরা করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেট মেট্রোপলিটনের আওতাধীন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুনু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক সুমন ও লেখক মিছবাহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে অর্থ প্রদান করেছেন আর ছাত্রলীগ নেত্রী তামান্না নানাভাবে উস্কানী দিয়ে হামলাকারীদের আন্দোলনে নামিয়েছেন।