একুশে নিউজ ডেস্ক : সিলেটের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিকস ও অনলাইন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করছে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি সিলেট।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর শিবগঞ্জস্থ কমিটির কার্যালয়ে জেলা সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা শফিকুল হক শায়খে সুরইঘাটীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে লিখিত বক্তব্যে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি সিলেটের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা মুসলমান। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদর্শ। আমরা সবকিছুতে ছাড় দিতে পারলেও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জতের জন্য জীবন দিতে মোটেও পিছপা হবো না। আমরা কাদিয়ানীদের সাথে মুসলমান হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে বসবাস করতে আপত্তি নেই। কিন্তু তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইয়াহুদীদের মতো পৃথক ধর্মের পরিচয়ে বসবাস করুক। তারা মুসলমান পরিচয়ে এদেশে ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, কাদিয়ানীরা অমুসলিম। আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। আহমদিয়া মুসলিম জামাত কিংবা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের বা অমুসলিম ঘোষণা না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য্য হবো। কাদিয়ানীরা যেহেতু আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী ও রাসূল মানে না, সেহেতু কুরআন, হাদীস, চার খলীফা এসব কিছুই মানে না!
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমী ও প্রচার সচিব মাওলানা শাহিদ হাতিমীর পরিচালনায় মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের যৌক্তিক প্রশ্নের উত্তরে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা পরষ্পর শুনতে পাচ্ছি, সিলেটেও নাকি কতিপয় জায়গায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা অতি কৌশলে গোপনে চলছে। এটা বাংলাদেশ, সিলেটের মাটি। এখানে শায়িত আছেন হজরত শাহজালাল রাহ., শাহপরান রাহ. সহ লাখ লাখ হক্কানি আলেম উলামা ও পীর মাশায়খগণ। আমরা জেনে বুঝে ঘোষণা দিচ্ছি কাদিয়ানীরা কাফের, পবিত্র এই মাটিতে, সিলেটের এ জমিনে কেউ কোনো অপতৎপরতা, বিশেষত ইসলাম, মুসলমান এবং সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কূটচাল কিংবা ষড়যন্ত্র করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
মতবিনিময়ে আলেমদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা শফিকুল হক সুরইঘাটী, মহানগর শাখার আহবায়ক অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা হাফিজ সৈয়দ শামীম আহমদ, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমী, জালালাবাদ ইমাম সমিতির সেক্রেটারি মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা আব্দুল আহাদ, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খাসদবিরী, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রচার সচিব মাওলানা শাহিদ হাতিমী, মাওলানা তোফায়েল আহমদ উসমানী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ দরবস্তী, মাওলানা আসাদ মুহাম্মাদ উসামা, মাওলানা নোমান আহমদ ছালেহ, মোশাররফ হোসেন মানিক প্রমূখ।
সাংবাদিক প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ গোলজার আহমদ হেলাল, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বদরুদ্দোজা বদর, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ হান্নান, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান তালুকদার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সভাপতির পক্ষে সৈয়দ সালিম কাসিমী আরো বলেন, সিলেটবাসীকে কাদিয়ানী ফিতনা সম্পর্কে সচেতন করতে আগামী ১৩ নভেম্বর বুধবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজন করা হয়েছে “খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন ও সীরাত মাহফিল” আমরা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গোটা সিলেটবাসীকে ১৩ নভেম্বর মহাসম্মেলনের দাওয়াত প্রদান করছি। ১৩ নভেম্বরের মহাসম্মেলনে অতিথি হিসেবে থাকবেন দেশ বিদেশের প্রখ্যাত উলামা মশায়েখ। বিশেষত পাকিস্তানের বরেণ্য আলেম, মুবাল্লিগ শায়খুল হাদীস মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, বাংলাদেশের অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর, শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মুফতি মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বরুণাসহ দেশের এবং সিলেটের উলামা মাশায়েখ। মহাসম্মেলন ও সীরাত মাহফিলে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।